আব্বাসউদ্দীনের জন্মদিনে ‘ভাওয়াইয়া উৎসব’

আব্বাসউদ্দীন আহমদআজ (২৭ অক্টোবর) ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদের ১১৮তম জন্মদিন। দিনটিকে ঘিরে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলাকেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজন হচ্ছে ‘দশম ভাওয়াইয়া উৎসব’ এবং তৃতীয় ভাওয়াইয়া কর্মশালা।
উৎসবটির আয়োজক ভাওয়াইয়া গানের শিক্ষা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণার বিশেষায়িত সংগঠন ভাওয়াইয়া অঙ্গন।
আয়োজন শুরু হবে বিকাল ৩টায় কর্মশালার মধ্য দিয়ে। এ পর্ব উদ্বোধন করবেন গীতিকবি ও ছড়াকার রফিকুল হক।
কর্মশালা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ‘দশম ভাওয়াইয়া উৎসব’। উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন লোক গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তফা জামান আব্বাসী, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, ভাওয়াইয়া অঙ্গনের প্রধান উপদেষ্টা আবু আলম মো. শহিদ খান এবং সংগীতশিল্পী মো. নুরুল ইসলাম।
উৎসবে সভাপতিত্ব করবেন ভাওয়াইয়া অঙ্গনের চেয়ারপারসন সালমা মোস্তাফিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকছেন মাজহারুল ইসলাম ও সাহস মোস্তাফিজ।
ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদ ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক গান, স্বদেশি গান, ইসলামি গান, পল্লিগীতি, উর্দুগান সবই গেয়েছেন তিনি। তবে পল্লিগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি।  
‘রমজানের ওই রোজার শেষে’, ‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে’, ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ’ ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরসা নদী উথালপাতাল, কারবা চলে নাও’, ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ।