বিজয় উদযাপনের জন্য নেপাল হয়ে কোরিয়া!

মঞ্চে হিরু ও তার দল (ফাইল ছবি)বিদেশের মাটিতে দেশের বিজয় দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন নৃত্যশিল্পী ও সংগঠক আনিসুল ইসলাম হিরু।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালের একটি ফ্লাইটে হিরু তার দলের (সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার) ৮ সদস্যকে নিয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন। সেখান থেকে ২০ ডিসেম্বর উড়াল দেবেন দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে।
হিরু বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিজয় দিবসকে ঘিরে দুটি দেশের একাধিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাচ পরিবেশন করবেন তারা।
এরমধ্যে বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডু আর্মি অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে হবে প্রথম শো। একদিন পর পোখারায় ইয়ুথ ফেস্টিভালে অন্যান্য দেশের শিল্পীদের পাশাপাশি আরও একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের সদস্যরা। এসব অনুষ্ঠানে দেশের গানের সঙ্গে নাচ করার পাশাপাশি একক ভরতনাট্যম পরিবেশন করবেন সৃষ্টির দলপ্রধান আনিসুল ইসলাম হিরু।

তিনি বলেন, ‘নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে নাচ করবো আমরা। এটা আমাদের দেশের জন্য গর্বের। সেখানকার রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ তিনি দেশের সংস্কৃতিকে বিদেশে তুলে ধরার এই আয়োজন করেছেন।’
নেপালের দলে দলনেতা ছাড়াও যাচ্ছেন ইয়াসমিন লাবণ্য, সানজিদা হোসেন, রুহুল আমিন, সুস্মিতা বসাক, রাজশ্রী বর্মণ, মুশফিকুর রহমান ও জাহিদুল সানী।
অন্যদিকে ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আরও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে সৃষ্টি দলের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক মাইগ্রেশন ডে উপলক্ষে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের আমন্ত্রণে সেখানে পরিবেশনায় অংশ নেবেন আনিসুল ইসলাম হিরুসহ সৃষ্টির মোট পাঁচ শিল্পী। বাকিরা হলেন তামিমুল হক, সানজিদা হোসেন, রুহুল আমিন ও তানজির আরা।
হিরু বলেন, ‘কোরিয়ার অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মাইগ্রেশন ডে উপলক্ষে হলেও আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশের বিজয়ের গল্পটা সেখানেও নাচে-গানে তুলে ধরতে। কারণ, মাসটা বিজয়ের।’