তবে তার এই আগমন একেবারেই ব্যতিক্রম একটি কারণে। প্রবাসী তারকাদের বেলায় যেমন নজির দেখা যায় না সচরাচর! বরং প্রবাসে স্থায়ী হওয়া তারকারা মিডিয়ার কাজ আগাম গুছিয়েই দেশে নামেন। নেমেই ব্যস্ত হন শুটিং, শো, ফটোশুট আর ইন্টারভিউতে। কাজ শেষে ‘মিস ইউ বাংলাদেশ’ বলে ফের উড়াল দেন আপন ঠিকানায়!
টানা পাঁচ বছর পর টনি ডায়েসের দেশে ফেরার গল্পটাও এমন হতে পারতো। অথচ ঘটলো উল্টো। ফেসবুকে টনি ডায়েসের দেয়ালে ‘চেকইন কক্সবাজার’ দেখে বিস্মিত হয়েছেন মিডিয়ার বেশিরভাগ মানুষ। কবে, কখন, কেন—এসব প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত টনি।
কারণ, ২২ জানুয়ারি ঢাকায় নেমেই খুব আড়ালে টনি ডায়েস চলে গেলেন মিডিয়া বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে, কক্সবাজার। মিশে গেছেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে, শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে, অকৃত্রিম আড্ডায়। শিকার করেছেন মাছ, ভেসেছেন সমুদ্রের ঢেউয়ে, মেতেছেন আড্ডায়, হয়েছেন স্মৃতিকাতর।
শুধু বন্ধুত্বের আড্ডায় প্রভাব না ফেলার জন্যই টনির এই নীরব আগমন। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকায় ফিরে একইভাবে নিউইয়র্কে ফিরে যাবেন সোমবারের (২৭ জানুয়ারি) একটি ফ্লাইটে। তাই বলে মিডিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে কোনও আড্ডা হবে না? সামনেই ভ্যালেন্টাইন, এক-দুটি নাটকও কি হবে না! জবাবে টনি বললেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকার হয়ে যাবে না! এটা তো আমি পারি না। এসেছি শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে নির্ভেজাল সময় কাটাতে। এরমধ্যে অভিনয়ের বিষয়টা যুক্ত করা মানে আড্ডাটাই মাটি করা। এবার দেখে গেলাম। পরে না হয় শুধু অভিনয়ের প্ল্যান করেই আসবো। তখন আর কক্সবাজার যাবো না!’
টানা পাঁচ বছর পর ঢাকায় নেমে টনির অভিজ্ঞতা এমন, ‘শহরের প্রতিটি রাস্তা খারাপ। প্রতিটি রাস্তায় জ্যাম। মানুষকে প্রায় রাস্তাতেই পুরো সময় আটকে থাকতে হয়। এতে কী পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে ধারণারও বাইরে। এতে মানুষের মেধা, ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হচ্ছে। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। সবাই অসহায় হয়ে পড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন এই জ্যামের শহরে। অন্তত কয়েক ঘণ্টার অভিজ্ঞতায় আমার তা-ই মনে হলো। এটা থেকে উত্তরণ হওয়া খুব দরকার।’
২০০৮ সালের শেষের দিকে তিনি তার স্ত্রী প্রিয়া ডায়েস ও মেয়ে অহনাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিউইয়র্ক লং আইল্যান্ডের হিকসভিল শহরে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।