অলিখিত লকডাউনে স্তব্ধ শহর। ঘরবন্দি মানুষ। চারপাশে চলছে ঘরে থাকার নানা গল্প। অথচ হঠাৎ একা হয়ে যাওয়া এই শহরটাকে নিয়ে ভেবেছে কি কেউ?
যেখানে শহরের বাস্তব চিত্রের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নির্মাতা দম্পতির ছোট্ট ছেলে তৌসিফের আঁকা দুটো পেইন্টিংও।
গানচিত্রটির বক্তব্য মোটাদাগে এমন—কেমন আছে ব্যস্ত শহরের শূন্য পিচঢালা পথ, নিয়ন বাতির মাথায় চুপচাপ বসে থাকা নাম না জানা সেই পাখিটা কিংবা সবুজ গাছে ফুটে থাকা নানা রঙের ফুলগুলো। কিংবা কেউ কি ভেবেছে, এই একাকী সময় কেমন করে কাটাচ্ছে প্রাণহীন প্রিয় শহর?
বাইট ফর ইউ নামের ইউটিউব চ্যানেলে বিশেষ এই কাজটি উন্মুক্ত হলো ২৩ মে।
গানটির গীতিকার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ফিল্ম শপ-এর নির্বাহী প্রযোজক বিন্তী বললেন, ‘এ শহর অনেক দিয়েছে আমাদের। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবেছি শহরটাকে নিয়ে? আমার মনে হলো, লকডাউনের এই সময়ে শহরটা খুঁজে পেয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত অবসর। সে প্রাণভরে উপভোগ করছে বৃষ্টির সুর। আবার এটাও মনে হয়েছে, শূন্য পিচঢালা পথগুলো নিশ্চয়ই অপেক্ষায় আছে, আমাদের জন্য। মূলত শহরকে ঘিরে এসব ভাবনা থেকে গানটির জন্ম। মনে হলো, ঘরে বসে প্রিয় শহরের সঙ্গে কথা বলার এটাই উত্তম মাধ্যম।’
অন্যদিকে দৃষ্টিনন্দন অন্য এক শহরকে ক্যামেরায় তুলে আনা প্রসঙ্গে এর নির্মাতা মিটুল বললেন, ‘লকডাউন-এর শুরুতে কী করবো, কীভাবে সময় কাটাবো এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত যখন, তখন বিন্তী এই গানটি লিখে ফেললো। মুম্বাই থেকে বন্ধু শ্রীধর গেয়ে পাঠালো! ব্যস, আমিও একটা মনের মতো কাজ পেয়ে গেলাম। স্কুটি নিয়ে শূন্য ঢাকায় বেরিয়ে পড়লাম। সঙ্গে সিনেমাটোগ্রাফার আশিক অপু। শূন্য শহরে বেরিয়ে মনে হলো গানটির কথাগুলোর মতোই সবকিছু। পথে পথে তেমন কেউ নেই বলে খুশিই মনে হলো শহরটাকে! দেখলাম, শহরটা নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে আবার।’
দেখুন ‘এই শহরে কেউ নেই’:
প্রসঙ্গত, তৌহিদ মিটুল ও রেবেকা সুলতানা বিন্তী দম্পতি মূলত টিভি কমার্শিয়াল নির্মাণ করে থাকেন। ফিল্ম শপ-এর ব্যানারে তারা নিয়মিত কাজ করছেন গেল একযুগ। টিভিসি ছাড়াও এই দম্পতি নির্মাণ করেছেন প্রচুর নাটক ও তথ্যচিত্র।