তারই সর্বশেষ সংযোজন ছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কানেকশন’। রায়হান রাফীর নির্মাণে এতে মিমের বিপরীতে ছিলেন তাহসান। ছবিটি প্রকাশের পর দারুণ প্রশংসা কুড়ান সংশ্লিষ্টরা। এটি ছিল মিমের অভিনয় জীবনের প্রথম কোনও প্রযোজনা।
সেটির রেশ না কাটতে ফের চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন মিম। বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ৮ জুন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হচ্ছে সেটি। নাম ‘‘মিম’স কাস্টডি’’। বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় ‘মিমের হেফাজতে’! যার মাধ্যমে প্রথমবার তিনি ক্যামেরার সামনে বসলেন উপস্থাপকের বেশে। শুধু তা-ই নয়, এর ক্যামেরা, লাইট, পরিকল্পনা, গ্রন্থনা, শিল্পী নির্বাচনও একহাতে করেছেন এই সুন্দরী বিজয়ী।
সিনেমা প্রযোজনার পরই বিদ্যার মুড বদল। এবার আসছেন উপস্থাপনা বা টকশো নিয়ে। কারণ কী! বিদ্যা সিনহা মিম বললেন, ‘‘সত্যি বলতে যার যার ঘরে বসে ফিকশন বানানো খুব কঠিন। ‘কানেকশন’ বানাতে গিয়ে দেখলাম, বিষয়টি জটিল। তবু সেটি আমরা প্রপারলি করেছি। এবং আশাতীত সাড়া পেয়েছি। কারণ, আমার চ্যানেলটির বয়স মাত্র এক মাস! প্রযোজনা সামনেও করবো, তবে কোয়ারেন্টিন টাইমে আর ফিকশনে যাবো না। বরং নন-ফিকশনেই নতুন কিছু করার চেষ্টা করছি। তারই ফসল ‘‘মিম’স কাস্টডি’’। অনলাইনে শুট করে ফেলেছি। সোমবার উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
বিদ্যা সিনহা মিমের এটাই প্রথম সঞ্চালনা! কোয়ারেন্টিনে থেকে যেমনটা হলো প্রযোজনার বেলায়। ‘‘মিম’স কাস্টডি’’ সম্পর্কে মিম বললেন, ‘এটা আসলে আধাঘণ্টার একটা আড্ডার মতো। যেখানে আমরা বসবো হেড টু হেড। অতিথি হবে মোটামুটি কাছের মানুষগুলো। সহশিল্পী হিসেবে যাদের সঙ্গে আমি কমফোর্ট জোনে থাকি। যেমন শুরুটা করছি তাহসান ভাইকে নিয়ে। এভাবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার আমি হাজির হওয়ার স্বপ্ন দেখি এমন আরও অনেককে নিয়ে।’
অনুষ্ঠানের নাম থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, বেশ কড়া আলাপ হবে এতে! এমন অনুমান উড়িয়ে দিলেন মিম। জানালেন, মোটেই কড়া কিছু নয় এটা। বরং মজার করে তোলার চেষ্টা করেছেন।
দুই মাসেরও বেশি সময় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মিম। কর্মঠ এই নায়িকার কাছ থেকে তার ভক্তরা এরমধ্যে পেয়েছেন একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। যেখানে তিনি প্রকাশ করেছেন আউটডোর ফটোশুট কেমন করে করা হয়, নিজে নিজে মেকআপ করার প্রক্রিয়া, পাস্তা তৈরির রেসিপি এবং সবশেষে নিজের প্রযোজনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
জিজ্ঞাসা ছিল, এভাবে আর কতদিন? নাটক-সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকের পথে সবকিছু। আপনার পরিকল্পনা কী!
মিম বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘সব স্বাভাবিকের পথে! কিন্তু করোনা আক্রান্তের বিষয়টি তো দিন দিন অস্বাভাবিকের দিকে। দুই মাস ঘরে বসে আছি, কম ক্ষতিগ্রস্ত হইনি। কিন্তু টাকার আশায় বাইরে গিয়ে আমার ঘরের মানুষগুলোকে বিপদে ফেলতে পারবো না। তাই যে যতই শুটিং করুক, আমি আরও দুই মাস ঘরে আছি। অভাব আমারও আছে, কিন্তু বাঁচার তো বিকল্প নেই।’