আরিয়ান, গেল ক’বছর যাই বানিয়েছেন, কম-বেশি জনপ্রিয়তা ঘরে তুলেছেন। ২০১৭ সালের ‘বড় ছেলে’ থেকে সর্বশেষ গেল ঈদে ‘উপহার’ বানিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন। দিয়েছেন জীবনঘনিষ্ঠ বার্তা।
আরিয়ান এবার নির্মাণ করছেন ২ডি প্রযুক্তির ড্রয়িং অ্যানিমেশন শর্টফিল্ম। এবারই প্রথম এ ধারার কাজে হাত রেখেছেন তিনি। আর তাকে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে ভারতের উই ওয়ার্ক স্টুডিও। এরমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
আরিয়ান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি সাধারণত টিভিতে যে ধরনের গল্পগুলো বলি বা বলতে চাই, এটাও তেমন কিছু। শুধু ধরন বা মাধ্যমটি আলাদা। প্রথম কারণ, মহামারির যে পরিস্থিতি, তাতে করে এখনই বাইরে কাজ করা সম্ভব না। আবার ঘরে বসে শুটিং করাও আমার পক্ষে আপাতত সম্ভব না। তাই গল্প বলার বিকল্প এই মাধ্যমটি বের করেছি। আপাতত আমি এখন তিনটি গল্প নিয়ে কাজ করছি।’
জানা গেছে, ৫ থেকে ৬ মিনিটের প্রতিটি গল্প সাজানো হচ্ছে সমসাময়িক তিনটি গল্প দিয়ে। নামগুলো এমন ‘রিমেমবারিং’, ‘হোয়াই’ ও ‘৩ মিটার’। কাজগুলো জটিল ও সময় সাপেক্ষ। কারণ, প্রতিটি চরিত্র ও তার মুভমেন্ট এঁকে এঁকে সেটিকে ভিজ্যুয়াল করতে হচ্ছে অ্যানিমেটর দলের মাধ্যমে। আবার সেটিকে ওভার ফোনে সুপারভাইজ করছেন আরিয়ান।
কিন্তু এ ধরনের কাজের বড় একটি অংশজুড়ে থাকে কণ্ঠ। মানে ডাবিং বা ভয়েসওভার। যেকোনও কার্টুন কিংবা ড্রয়িং অ্যানিমেশন ফিল্মের চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে ডাবিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো বিশ্বের আলোচিত সব অ্যানিমেটেড ফিল্মে কণ্ঠ দেওয়ার খবর পাওয়া যায় বিখ্যাত সব তারকাদের।
তো আরিয়ানের এই তিনটি অ্যানিমেশন ছবিতে এমন কেউ কি কণ্ঠ দিচ্ছেন? জবাবে আরিয়ানের কণ্ঠে রহস্য। বললেন, ‘চরিত্রগুলোর মুখে ভাষা দেওয়ার জন্য ডাবিং তো করতেই হবে। আমি চেষ্টা করবো বিখ্যাতদের সংযুক্ত করতে। সমস্যা হচ্ছে সবাই তো যার যার ঘরে বন্দি। তবু চেষ্টা থাকবে চমক রাখার। আমি চাই ছবিগুলো প্রকাশের পর দর্শকরা খুঁজে নিক কোনটা কার কণ্ঠ। সেটাও একটা মজা হবে। এবার বোঝা যাবে, তারকাদের ভক্তদের কানের জোর!’
তিনটি ছবিই উন্মুক্ত করা হবে আরিয়ানের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। এরমধ্যে প্রথম কাজটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে। ঈদের আগেই আসছে অন্য দুটি।