লোকার্নোর স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সিতে ‘কাক’ নিয়ে রীতি ও মৌ

সাদিয়া খালিদ রীতি ও তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌচলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতি এবং নির্মাতা তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ যৌথভাবে দুই বছর ধরে লিখছেন ‘কাক’ শিরোনামের একটি চিত্রনাট্য। এটি তাদের জন্য বয়ে এনেছে সুখবর।

সুইজারল্যান্ডের মর্যাদাপূর্ণ লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সিতে এ বছর ‘কাক’ প্রজেক্টটি নির্বাচিত হয়েছে। ফলে ওপেন ডোরস রিমোট কনসালটেন্সির আওতায় স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সি গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন রীতি ও মৌ। অনলাইনে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। তাদের মেন্টর হিসেবে আছেন মিগায়েল মাচালস্কি।

এশিয়ার ১৬টি দেশের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকরা স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সির জন্য চলচ্চিত্র প্রকল্প জমা দেন। চিত্রনাট্য, যৌথ প্রযোজনা ও অর্থায়ন কৌশল, চলচ্চিত্র সম্পাদনা, আন্তর্জাতিক বিতরণ কৌশল এবং আইনি দিক ও চুক্তি—এই পাঁচটি আলাদা বিষয়ে কনসালটেন্সির জন্য আবেদন করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
জমা পড়া চলচ্চিত্র প্রকল্পগুলোর মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সি গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে নির্বাচিত কয়েকটি কাজ। ‘কাক’ সেগুলোরই একটি।
গত শতাব্দীর আশির দশকে ঢাকার এক তরুণের অতীত ও বর্তমান সময়ের টানাপড়েনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রীতি-মৌ’র চিত্রনাট্যটি।
‘কাক’ পরিচালনা করবেন তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ। তিনি জানান, চিত্রনাট্যের কাজ শেষ হলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রযোজক খুঁজবেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লোকার্নো উৎসবের ওপেন ডোরসের স্ক্রিপ্ট কনসালটেন্সি প্রজেক্টে গুরুত্ব পাচ্ছে এশিয়ার কিছু দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় জায়গা পেলেন বাংলাদেশের এই দুই তরুণ চলচ্চিত্রকর্মী।
গত বছর কান উৎসবে মৌ ও রীতি উভয়ে ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকসের (ফিপরেস্কি) বিচারকদের তালিকায় দেখা গেছে রীতিকে। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে তিনিই প্রথম ফিপরেস্কির বিচারক হন। এছাড়া আগামীর নির্মাতা শীর্ষক একটি প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে কানে যান তাসমিয়া আফরিন মৌ।
এ বছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষের বার্লিনাল ট্যালেন্টসের ১৮তম আসরে চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান সাদিয়া খালিদ রীতি।
২০১৬ সালে তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে।