মিথিলার প্রস্তাবে রাজি মোশাররফ করিম ও স্বস্তিকা!

মিথিলা ফারজানা, মোশাররফ করিম ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়মিথিলা ফারজানা। মোশাররফ করিম। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনটি নামই দুই বাংলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লম্বা সময় ধরে তিন জনই পর্দায় নিজেদের সমর্পণ করেছেন প্রায় শতভাগ।

উদ্দেশ্য, বাংলার মানুষকে তথ্য ও বিনোদন দিয়ে সহযোগিতা করা। এরমধ্যে মিথিলা ফারজানা দেশের অন্যতম সংবাদ চ্যানেল ‘একাত্তর’-এর জনপ্রিয় মুখ। সংবাদ পরিবেশক কিংবা ‘একাত্তর জার্নাল’ সঞ্চালক হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার। অন্যদিকে মোশাররফ করিমকে বলা হয়, দুই বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও অঞ্চলে বাংলাদেশের চেয়েও এই অভিনেতার জনপ্রিয়তা বেশি। আর স্বস্তিকার কথা তো মুখফুটে বলার সুযোগ নেই। সবাই জানেন, বোঝেন- রুপালি পর্দায় তার জনপ্রিয়তা আর টলিউডে তার প্রভাবের কথা।
তো এই তিন জনকে এবার পাওয়া যাবে একসঙ্গে। পরিকল্পনাটা করেছেন মিথিলা ফারজানা। প্রস্তাব দিয়েছেন অন্য দুজনকে। দ্বিধা না করে সাড়া দিলেন দুজনেই। অবশেষে ছক এঁকে, সময় ফিক্স করে তারা প্রস্তুত।
শনিবার (২৭ জুন) রাত ৯টায় (পশ্চিমবঙ্গ সময় ৮টা ৩০ মিনিট) মিথিলার মুখোমুখি বসবেন মোশাররফ করিম ও স্বস্তিকা। পুরো আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার হবে সঞ্চালকের ফেসবুক পেজ থেকে।
মিথিলা ফারজানা বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘এটা ঘরবন্দি সময়টাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা থেকে করা। অনেকেই নিজ ঘরে বসে এমন শো করছেন জুম বা অন্য অনেক মাধ্যমে। তো আমার হাতে টিভিসূচির বাইরেও বেশ কিছুটা সময় বাড়তি থেকে যাচ্ছিল। সেই সময়টাতে নতুন কিছু করতে চাইছিলাম। অবশেষে মাথায় এলো করোনাকালে দুই বাংলার একটা মেলবন্ধন ঘটাতে। যেটা তেমন কাউকে করতে দেখছিলাম না।’

মিথিলা জানান, তার এই আয়োজনের নাম দিয়েছেন ‘এই আলো এই অন্তরাল’। ৬ জুন চঞ্চল চৌধুরী আর অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে শুরু করেন শো’টি। ১৩ জুন করেন বাপ্পা মজুমদার ও রূপঙ্কর বাগচীকে নিয়ে। ২০ জুন মিথিলা বসেন চিরকুট ব্যান্ডের সুমি এবং ওপারের সংগীত পরিচালক জয় সরকারের সঙ্গে। এবার সেই শো করছেন মোশাররফ করিম ও স্বস্তিকাকে ঘিরে।




এবারের অতিথি চূড়ান্ত করা প্রসঙ্গে মিথিলা ফারজানা বলেন, ‘প্রথমত আমি চেষ্টা করি দুই বাংলার দুজন কাছাকাছি ধারার শিল্পীকে এক করতে। আগের তিনটি শোতে তাই করেছিলাম। এবারও সেটাই থাকছে। তবে খানিক বৈচিত্র্য রয়েছে। এবারের দুজনই অসম্ভব জনপ্রিয় ও নামজাদা অভিনেতা দুই বাংলার। এর বাইরে একজনকে আমরা পর্দায় পাই অত্যন্ত আধুনিক বা বোল্ড চরিত্রে, অন্যজনকে পাই মূলত সাদামাটা পোড়-খাওয়া প্রান্তিক মানুষের চরিত্রে। এবারের আয়োজন বা আলাপে আমি সেই দিকগুলো নিয়ে গল্প করতে চাই।’

দুই দেশে কাজ করার ধরন, সুবিধা-অসুবিধা আর পেশাদারিত্ব নিয়েও আলাপ থাকবে এই আয়োজনে- যুক্ত করেন মিথিলা ফারজানা।