তবে এসবের বাইরে গিয়ে দুই বাংলার অন্যতম ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ হৈচৈ দেখালো বড় চমকটি। ভারতের এই অ্যাপ কর্তৃপক্ষ জয়ার জন্মদিনের চলমান উচ্ছ্বাসে খানিক বাতাস বইয়ে দিলো। অ্যাপটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ছে ‘শেডস অব জয়া’ নামে নতুন একটি বিভাগ। যেখানে থরে থরে সাজানো আছে জয়া আহসান অভিনীত নয়টি ছবি। অবশ্য সবক’টিই পশ্চিমবঙ্গের।
তবে এরসঙ্গে বাংলাদেশের ‘গেরিলা’, ‘দেবী’ আর ‘খাঁচা’ থাকলে ষোলআনা পূর্ণ হতো বলে মনে করছেন জয়া ভক্তরা।
হৈচৈ সূত্র জানায়, জয়া আহসানকে সম্মান জানিয়ে তার জন্মদিনে বিশেষ এই আয়োজনটি করেছে তারা। অন্যদিকে হৈচৈ’র এমন আয়োজনে নিশ্চয়ই জয়া আহসানের ভেতরেও খেলে গেছে আনন্দ, জন্মেছে অ্যাপ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বস্তি বোধ করছেন তিনি।
জয়া আহসানের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ এর মাধ্যমে।
এর ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে ‘এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
জয়া আহসান ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন কলকাতার ছবিতে। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘আবর্ত’তে তার বিপরীতে ছিলেন আবীর চ্যাটার্জি। একই বছর বাংলাদেশের সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’তে অভিনয় করেন। এতে প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান। ২০১৫ সালে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘জিরো ডিগ্রি’, কলকাতার ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’, ২০১৬ সালে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি ২’, অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ঈগলের চোখ’, ২০১৮ সালে সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পুত্র’, বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত নারীবাদী চলচ্চিত্র ‘ক্রিসক্রস’, নিজের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘দেবী’, কৌশিক গাঙ্গুলির ‘বিজয়া’ এবং সর্বশেষ নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘কণ্ঠ’ ছবি দিয়ে বাজিমাত করেন জয়া আহসান।
জয়া আহসান এ পর্যন্ত চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ৭টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও ১টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।