১৫ আগস্ট নিয়ে চিত্রনাট্য লিখছেন শেখ সেলিম, শিগগিরই শুটিং

শেখ ফজলুল করিম সেলিম১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকারতম অধ্যায়। আর এই নির্মম অধ্যায়টি এবার উঠে আসছে পর্দায়।

তার চেয়ে বড় বিষয়, সেই অন্ধকার ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম নিজেই লিখছেন এই চিত্রনাট্য। এতে থাকছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রও। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করবেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
১৬ জুলাই দিবাগত রাতে বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিউলিপ মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানার থেকে এই ইতিহাসনির্ভর কাজটি নির্মিত হচ্ছে। তবে এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নাকি ওয়েব ফিল্ম, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করতে নারাজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী। এতে তিনি নিজে অভিনয় করছেন কিনা সে বিষয়টিও স্পষ্ট করতে চাইছেন না এখনি। বলছেন, ‘শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাবো।’
নিপুণ আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সত্যি বলতে ১৫ আগস্ট আমাদের জন্য একটা ইতিহাস হলেও সেলিম আঙ্কেলদের জন্য এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এই দিনটিকে নিয়ে তিনি বা বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যরাও সচরাচর কথা বলতে চান না। সেজন্যই এই কাজটি নিয়ে আমি আগাম তেমন কিছু বলতে চাই না। তবে এটুকু বলছি, আমি সেলিম আঙ্কেলকে বুঝিয়ে এই কাজটি করার চেষ্টা করছি। তিনি এরমধ্যে লেখা শুরু করেছেন। ইনফ্যাক্ট গত একটা বছর আমরা এটা নিয়ে নিরলস কাজ করছি। আমরা চাই, ইতিহাসের এই অন্ধকারতম ঘটনাটি ভিজ্যুয়াল হোক।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্র নাকি ওয়েব ফিল্ম- সেটা এখনি বলবো না। তবে ওয়েব সিরিজ হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত করছি আপনাকে। আর করোনাকাল পার করতে পারলেই আমরা শুটিংয়ে যাবো। সেটিও গুছিয়ে রেখেছি।’
নিপুণ আক্তারএই বিষয়টি সেলুলয়েডে বাঁধার পরিকল্পনা কেমন করে মাথায় এলো—এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ আক্তার বলেন, ‘সেলিম আঙ্কেল আমার বাবার বন্ধু। আমি প্রথমে এই বিষয়ে গভীরভাবে জানতে পারি আব্বুর ডায়েরি থেকে। আব্বুর ডায়েরি থেকে ১৫ আগস্ট নিয়ে আমি যে গল্পগুলো জেনেছি, তার অধিকাংশই আমরা জানি না। এগুলো আসলে সেলিম আঙ্কেলরা বলতেও চান না। কত নির্মমতার মধ্য দিয়ে তাঁরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছেন। তো আব্বুর ডায়েরির লেখার রেফারেন্স নিয়ে আমি সেলিম আঙ্কেলকে বুঝিয়ে বলি। বোঝানোর চেষ্টা করি, এই ইতিহাসগুলো মানুষের জানা দরকার। সেটি যদি আপনি নিজে লেখেন- সেটা হবে সবচেয়ে নিখুঁত। তিনি লেখার জন্য রাজি হলেন। এভাবেই কাজটি শুরু। আশা করি শেষটাও ভালোভাবে হবে।’

প্রসঙ্গত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ভাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই।