বহু বছর পর অনেকটা একই কথার প্রতিধ্বনি হলো এই প্রজন্মের মৌসুমী মৌর কণ্ঠে। তিনি মূলত অনুষ্ঠান সঞ্চালক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছেন সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর দিকনির্দেশনা। কারণ, এরমধ্যে মৌ কাজ করেছেন এই নির্মাতার বিশেষ টেলিছবি ‘অগ্নিফসল’-এ। যার মাধ্যমে এই নতুন অভিনেত্রী সুযোগ পেলেন আরেক কিংবদন্তি নির্মাতা-অভিনেতা আফজাল হোসেনের সাহচর্য।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এই টেলিছবিটি নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধের একটি বিশেষ গল্প নিয়ে। যেখানে আফজাল হোসেন ও মৌসুমী মৌ অভিনয় করেছেন বাবা ও মেয়ের চরিত্রে।
‘অগ্নিফসল’-এর গল্প প্রসঙ্গে মৌ জানান, গল্পটা ১৯৭১-এর মে-জুন মাসের। একটি অবরুদ্ধ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকজন মানুষ। একজন হিন্দু, একজন বৌদ্ধ এবং একটি মুসলিম পরিবার। এখান থেকেই জন্ম নেবে ‘অগ্নিফসল’।
মৌসুমী মৌ বলেন, ‘আমি মূলত একজন উপস্থাপক। এর আগে অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পেলেও নানা কারণে করা হয়নি। কিন্তু সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী স্যারের কাছ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে অন্যকিছু আর ভাবিনি। তাঁর মতো একজন মানুষের সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কেমন করেছি জানি না, তবে আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
টেলিছবিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, ফারহানা মিঠু, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, পৌশাল প্রমুখ।
লাকী আখান্দের সুর ও সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর লেখা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ‘ঐ চেয়ে দেখ পূর্বাকাশ ফিকে হলো’ গানটি এই টেলিছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঈদের চতুর্থ দিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে টেলিছবিটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী সর্বশেষ নির্মাণ করেন ২০১৭ সালে। ‘হারানো পাতায় প্রেম’ নামের ওই টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন ও তারিন।
এদিকে, মৌসুমী মৌ বর্তমানে এনটিভি, একুশে টিভি, নাগরিক টিভি, এসএটিভি, এশিয়ান টিভি, গাজী টিভি এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যুক্ত আছেন মূকাভিনয়ের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সঙ্গে।