বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই জানান যাকের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন অভিনেতা ফারুক আহমেদ।
সকাল সোয়া দশটার দিকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা দুটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি। সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাবো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। কারণ, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং জাদুঘরটির অন্যতম ট্রাস্টি। সেটাই তার অন্যতম প্রিয় স্থান। শেষ শ্রদ্ধা সেখানেই জানাতে চাই আমরা।’
তবে কি প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছে শিল্পী ও সাধারণরা? এরমধ্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জানিয়েছে, অভিনেতার কোভিড পজিটিভ হওয়ায় সেই সুযোগটা আর থাকছে না। জবাবে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটা সত্যি। উনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। সেজন্য আমরা শহীদ মিনারে যাচ্ছি না। অথবা আনুষ্ঠানিক বিদায়ের আয়োজনও নেই। তবে কেউ আসতে চাইলে, দেখতে চাইলে- তাকে স্বাগত জানাবো। আড়াইটা পর্যন্ত মরদেহ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণেই থাকছে।’
শিল্পকলায় যার শুরু হয়েছিল বিখ্যাত ‘কবর’ নাটক দিয়ে, মঞ্চে। শুরুর ঠিকানায় আজ (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে করোনাযুদ্ধে হেরে গেলেন বহুমাত্রিক এই অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা। রেখে গেছেন তার অসংখ্য কর্ম ও সৃষ্টি।
১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দসৈনিকের।
আরও:
নন্দিত অভিনেতা আলী যাকের আর নেই
‘কবর’ দিয়ে শুরু করোনায় শেষ...
আলী যাকেরের মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি: রাষ্ট্রপতি