শবনম ফারিয়া-অপুর সংসারে বিচ্ছেদ

বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়নায় মুখ দেখছিলেন তারা বিয়ের ঠিক এক বছর নয় মাসের মাথায় সংসার জীবন থেকে ছুটি নিলেন শবনম ফারিয়া ও হারুন অর রশীদ অপু। ২৭ নভেম্বর বিচ্ছেদ পত্রে সই করেন দুজনে।
কারণ হিসেবে শবনম ফারিয়া জানান, উল্লেখযোগ্য কোনও কারণ নেই এই বিচ্ছেদের পেছনে। ফলে একে অপরের প্রতি কোনও অভিযোগও নেই। দুজনেই চেয়েছেন নিজেদের মতো ভালো থাকতে।
শবনম ফারিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!’ ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে! কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না। তাই বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরনো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।’’
বিয়ের অনুষ্ঠানে দুজনেগত বছর ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপু। এদিন নৌকায় ভেসে ভেসে পরীর বেশে বিয়ের আসরে হাজির হয়েছিলেন নববধূ শবনম ফারিয়া! অন্যদিকে একই সময়ে লেকের পাড় ধরে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে এসেছিলেন বর হারুন অর রশীদ অপু। এমন নান্দনিক বিয়ের আয়োজন এর আগে কোনও শিল্পীকে ঘিরে হয়নি। মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার গভীরে, নয়নাভিরাম ‘জল-জোছনা’য় উন্মুক্ত আকাশের নিচে আয়োজিত হয় এটি।
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ফারিয়া-অপুর পরিচয় হয়। দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তিন বছর পর বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল হয় তাদের।বিয়ের অনুষ্ঠানে দুজনে