করোনাজয়ীর ভাষ্যে নতুন বছর

অনেকে বলেছেন হানিমুন সেরে আসতে!

চলছে করোনাকাল। ২০২০ পেরিয়ে আরও একটি বছর যুক্ত হলো মানুষের জীবনে। সেই সূত্রে করোনায় বিপর্যস্ত মানব সভ্যতা ফের স্বপ্ন দেখছে ঘুরে দাঁড়াবার। নতুন বছরের বিশেষ আয়োজনে বাংলা ট্রিবিউন বিনোদন বিভাগ চেষ্টা করেছে তাদের গল্প শোনাতে; যারা করোনাভাইরাসের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। পেয়েছেন জয়। তেমনই একজন চিত্রনায়িকা ও কণ্ঠশিল্পী নুসরাত ফারিয়া—নাচের মঞ্চে নুসরাত

২০২০ নিয়ে অনেক কিছু ঘটে গেছে। অনেক নেতিবাচক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি আমরা।


তবে আমার জন্য বছরটা মন্দ যায়নি। বেশ ভালো কেটেছে। করোনাও ছিল। আবার ভালো অনেক কিছু আমার জীবনে ঘটেছে।
করোনার ঠিক আগে ৬ মার্চ মুক্তি পায় আমার চলচ্চিত্র ‘শাহেনশাহ’। বছরের শুরুর দিকে এটাই প্রথম চলচ্চিত্র।
নুসরাত ফারিয়াএরপর তো করোনায় আমরা ঘরবন্দি হলাম। সৌভাগ্যবশত আমি ময়মনসিংহে আমাদের ফার্ম হাউজে চলে গিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছি।
শোবিজে কাজ শুরু করার পর এত মধুর ও দীর্ঘ সময় আমি আর পাইনি। এরমধ্যে আমার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা আসে। বাগদান হয়। এ বছর আমার গান ‘আমি চাই থাকতে’ মুক্তি পেয়েছে। অনেক বিজ্ঞাপন করেছি।
তারপরও যে কারণে এই বছরটা ভয়াবহ, সেই করোনাতেই আক্রান্ত হলাম। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হালকা উপসর্গ পাই। করোনা টেস্ট করার পর পজিটিভ আসে। এরপর একদমই উপসর্গ ছিল না। খুব ভালোভাবে ছিলাম।
অনেকে মজা করে বলেছেন, যেহেতু উপসর্গ নাই, কাজও করতে পারবে না, বিয়ে করে কোনও এক দ্বীপে হানিমুন সেরে আসো!
করোনাতে অনেকেই ডিপ্রেশনে চলে যান। আমার ক্ষেত্রে সেটা হওয়ার সুযোগ পাইনি। কারণ পরিবার আমাকে প্রচুর সময় দিয়েছে। বন্ধুরা ভিডিও কলের মাধ্যমে আমার সঙ্গে ছিল। প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করেছি। প্রচুর ব্যায়াম করেছি। প্রচুর মুভি দেখেছি। কোভিড আমাকে কষ্ট দেয়নি। শুধু শরীরটা একটু দুর্বল লাগতো। এরপর ১০ দিন পরই আমার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কাজেও ফিরলাম।
২০২১ সালটা কাজের মধ্যেই থাকতে চাই। অনেক ছবির কাজ জমা পড়ে আছে। তালিকা ধরে ধরে এগুলোর কাজ করতে চাই।
‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘ঢাকা ২০৪০’, ‘ভয়’, ‘পাতালঘর’, ‘বিবাহ অভিযান-২’, ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘যদি কিন্তু তবুও’-এর কাজ শেষ করতে হবে। ২০২০-কেও বহন করবো ২০২১-এ। সঙ্গে নতুন বছরের কাজ তো থাকছেই।
হ্যাপি নিউ ইয়ার।