কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের ৭১তম জন্মদিন ছিল রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি)। দিনটিকে ঘিরে ঢাকার অদূরে কয়েকজন নিঃসঙ্গ বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সঙ্গে অন্যরকম একটা দিন পার করলেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা থেকে ফকির আলমগীর ছুটে যান মনিপুর বিশিয়া কুড়িবাড়ি এলাকার বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে ‘আনন্দ আয়োজন’ শিরোনামে ৭১তম জন্মবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন তিনি।
সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি। তিনি বলেন, ‘ফকির আলমগীর এমন একজন মানুষ, যিনি সবসময় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সংগীতের মাধ্যমে লড়াই করে গেছেন। তাঁর আমন্ত্রণে এই বিশেষ জন্মদিনে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
ফকির আলমগীর তাঁর ৭১তম জন্মদিনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যাদের জীবন অবহেলিত ও বিপন্ন, যারা একাকিত্ববোধ করেন, যারা নিরানন্দবোধ করেন, তাঁদের সাথে জন্মদিন উদযাপন করার বিষয়ে আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি। গত বছর জাতীয় জাদুঘরে যখন ৭০তম জন্মদিন করেছিলাম, তখন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলেছিলাম, আর কোনও চাকচিক্য বা আধুনিক আলোকোজ্জ্বল সমাবেশে আমার জন্মদিন করবো না। যতদিন বেঁচে থাকবো কখনও বৃদ্ধাশ্রম, কখনও পথশিশু, কখনও কুলি, কখনও মজুরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আমি আমার জন্মদিন পালন করবো।’
শিল্পী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা জলপাই রঙের এই বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমার ৭১তম জন্মদিনটি তাঁরই স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম।’
এরপর তিনি দেশাত্মবোধক একটি গান গাওয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রের অশীতিপর (আশিরও অধিক বয়স্ক) বাসিন্দা আব্দুল হালিমের গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেন।