শেষ হলো অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসব

শেষ হলো ৬ দিনের অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসব। প্রখ্যাত নাট্যকার, আইনজীবী, সমাজকর্মী, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়-এর জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী থিয়েটার পঞ্চমবারেরমতো এই আয়োজন করেছিল।

গত ১ মার্চ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উৎসব শুরু হয়েছিল। শনিবার (৬ মার্চ) রাতে সেখানেই আয়োজন শেষ হলো। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবান করতে না পারলে আমাদের আদি বাংলাকে তুলে আনতে পারবো না। সেই দিক থেকে সংস্কৃতি চর্চার খুব গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্য বাঙালি হিসেবে তুলে ধরতে পারে।’

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সঞ্জীব কুমার ভাটি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের এখন একটি সোনালী অধ্যায় চলছে। দুই দেশের মধ্যে যদি বেশি করে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করা যায় তাহলে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক খোরশেদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন নাট্যজন তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোয়ার ইসলাম বকুল। উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কামার উল্লাহ সরকার সমাপনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার। অনুষ্ঠান শেষে এই উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে ঢাকার শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘চম্পাবতী’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।

উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ হয়েছিল রাজশাহী থিয়েটারের ‘পুত্রহীন’। এছাড়া ২ মার্চ রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘের ‘গিরগিটি’, ৩ মার্চ রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির ‘বাতিঘর’, ৪ মার্চ বগুড়া থিয়েটারের ‘দ্রোহ’ এবং ৫ মার্চ বিবর্তন যশোরের ‘পেজগী’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।