৩০ মার্চ সন্ধ্যায় বইমেলায় পরীমনি, কিন্তু কেন!

৩০ মার্চ সারাদিন বিএফডিসিতে ব্যস্ত থাকলেও ঠিক সন্ধ্যা নামার পর পরীমনি হাজির হবেন অমর একুশে বইমেলায়। মুখ দেখিয়ে ফিরে আসবেন, তা কিন্তু নয়! মেলাজুড়ে থাকবেন লম্বা সময়।

ঢাকাই ছবির অন্যতম এই নায়িকার বইমেলাযাত্রা এবারই প্রথম, তা কিন্তু নয়। তবে এবারের যাওয়ার উদ্দেশ্য একেবারেই ব্যতিক্রম। আগে বই কিনতে আর ঘুরতে দু’একবার গিয়েছেন বটে। আর এবার যাচ্ছেন সরাসরি সিনেমার শুটিংয়ে!

হ্যাঁ, রাজধানীর বাংলা একাডেমির মূল চত্বর পেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বইমেলার ভিড়ে এবার সত্যিকারের শুটিংয়ে ব্যস্ত হবেন পরী। নিশ্চিত করলেন ‘মুখোশ’ নির্মাতা ইফতেখার শুভ এবং অভিনেত্রী- দু’জনেই।

শুভ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৩০ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত এফডিসিতে শুটিং করবো। সন্ধ্যা নামতেই পুরো ইউনিট নিয়ে চলে যাবো মেলায়। এ বিষয়ে আমরা সকল প্রস্তুতি ও অনুমতি নিয়ে রেখেছি। জানি এমন পরিবেশে কাজটা করা খুব কঠিন হবে। মেলায় আগত পাঠক ও প্রকাশকদেরও হয়তো খানিক সমস্যা হবে। কিন্তু চলচ্চিত্রের কয়েকটি ভালো দৃশ্যের প্রয়োজনে এটুকু ছাড় আমাদের সবাইকেই দিতে হচ্ছে।’

শুভ জানান, এদিন পরীমনি একাই মেলায় থাকছেন, তা কিন্তু নয়। আরও থাকবেন মোশাররফ করিম, রোশান, তারেক স্বপন ও প্রাণ রায়। যারা প্রত্যেকে ‘মুখোশ’ ছবির দরকারি চরিত্রে অভিনয় করছেন।

পরীমনি, ছবি: আহমেদ হোসাইনবইমেলায় শুটিং! বিষয়টিকে পরীমনি দেখছেন রোমাঞ্চ আর ফ্যান্টাসির মিশেলে। ট্রিবিউনকে বলছেন, ‘আমি কবিতা না লিখলেও ভেতরে ভেতরে কিন্তু কবির একটা ভাব আছে! মানুষ বলে, আমি না। তবে এটা সত্যি, বরাবরই বইমেলা আমাকে খুব টানে। দ্বিতীয় ও শেষ গিয়েছি ২০১৫ সালে। প্রতিবার যেতে চাই, হয়ে ওঠে না। তবে এটাও কখনো ভাবিনি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য মেলায় আমাকে যেতে হবে। এটা ভাবলেই আমি রোমাঞ্চিত হই।’

পরী আরও বলেন, ‘দেখুন চাইলে এফডিসিতে সেট বানিয়ে পাড়া-মহল্লা-মেলা সবই রাতারাতি বানিয়ে ফেলা যায়। তাতে ঝামেলা, খরচ, রিস্ক সবই সম্ভবত কম হতো। যেটুকু বুঝলাম, নির্মাতা আসলে সিনেমাটিতে ফেইক কিছু দেখাতে প্রস্তুত নন। তিনি যা দেখাবেন তার পুরোটাই বাস্তব করার চেষ্টা করছেন। তার এই চেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তার ইচ্ছেটাকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরও। তাই, ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় দলেবলে দেখা হচ্ছে মেলায়!’

নির্মাতা জানান, মেলার পর ৩ এপ্রিল আবার শুটিং হবে বিএফডিসিতে। মূলত সেখানেই ছবির মূল শুটিং শেষ হচ্ছে। এরপর রোজার ঈদের পর করবেন গানের শুটিং। কোরবানির ঈদে পাচ্ছে মুক্তি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের ছবি ‘মুখোশ’ পরিচালনার পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করছেন ইফতেখার শুভ।

এদিকে সবারই একটা পিক-টাইম থাকে। পরীমনি সম্ভবত এখন সেই সু-সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। ‘স্বপ্নজাল’ বিরতির পর চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’ দিয়ে শুরুটা হলো সেই সু-সময়ের। মুক্তির পর ছবিটি টানা ১০০ দিন প্রেক্ষাগৃহে চলার রেকর্ড গড়লো এই মহামারিতেও!

এর বাইরে রায়হান জুয়েলের ‌‌‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’, হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেইসব দিন’, সঞ্জয় সমদ্দারের ‘বায়োপিক’ এবং আরও কিছু ওয়েব সিরিজ রয়েছে শুটিং-মুক্তির তালিকায়।

ধারণা করা হচ্ছে, সামনের ক’বছর একক নায়িকা হিসেবে ঢালিউড রাজত্ব ভালোই শাসন করবেন পরী। কণ্ঠে যদিও বিনয়, ‘এটা ঠিক আমি এখন অনেক বেশি সচেতন। অনেক পরিণত। এভাবে আরও অনেকটা পথ হাঁটতে চাই। বাকিটা সবার সমর্থন আর আমার সততা ও ভাগ্য।’‘মুখোশ’ শুটিংয়ে নির্মাতা (ডানে) ও সহকর্মীদের সঙ্গে পরী