তৃতীয় লিঙ্গের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র (ভিডিও)

মাস্টার রনি হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তবে সেটিকে ছাপিয়ে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়- তিনি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছেন এই মানুষটি। কিন্তু লৈঙ্গিক পরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধের সনদ হারিয়ে তিনি মুখোমুখি হন নির্মম বাস্তবতার। প্রায় ৫০ বছর লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন। স্বজন ও সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি ছিলেন ‘নিখোঁজ’ কিংবা ‘মৃত’!

এমন বাস্তব ও দুঃসহ জীবনের গল্প উঠে এসেছে ‘অগ্নিঝরা দিনের না বলা কথা’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্রে। যাতে কুমিল্লার মাস্টার রনিসহ এমন আরও ক’জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অবদান ও বীরত্বের কথা উঠে এসেছে এতে।

এবারই প্রথম এই বিষয়ে কোনও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে বলে দাবি করেন নির্মাতা শরিফুল ইসলাম পলাশ।

প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথম পর্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে ৭ এপ্রিল মধ্যরাতে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীদের কথা। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, স্বজন হারিয়েছেন, পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই জানালেন নির্মাতা।

শরিফুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো হিজড়া জনগোষ্ঠীর বীরত্বের গল্প সবার সামনে আনার চেষ্টা করেছি। রনি মাস্টারের মতো যারা অন্ধকারে আছেন, তাদেরকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনাই আমার এই নির্মাণের মূল লক্ষ্য। যাতে তাঁরাও আর দশজন সহযোদ্ধার মতো প্রাপ্য সম্মানটুকু পান। এই জনগোষ্ঠীর পরবর্তী প্রজন্মও যেন বিস্মৃত না হন।’

গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধানমূলক এই প্রামাণ্যচিত্রের তিন পর্বের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করছে বেসরকারি সংস্থা বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিএসডব্লিউএস)।

প্রামাণ্যচিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনাসহ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ওয়াসিম সিতার।