অমিত মাসুরকর পরিচালিত ‘শেরনি’তে বিদ্যা বালান অভিনয় করেছেন এক দাপুটে বন কর্মকর্তার চরিত্রে। একইসঙ্গে বলিউডকে দেখিয়েছেন শক্তিশালী নারীর নতুন এক রূপ। এ নিয়ে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে।
: এক সপ্তাহ পরও ‘শেরনি’ নিয়ে আলোচনা চলছে। কী ভাবছেন?
- আমি সত্যিই শিহরিত। সবাই ছবিটা এত পছন্দ করবে আর এত
প্রশংসা করবে ভাবিনি।
: পরিবেশ নিয়ে সিনেমাটা লোকে দেখবে কিনা, এমনটা ভেবেছিলেন?
- তেমন তাড়াহুড়ো ছিল না। তবে এটা বিনোদনমূলক বা মসলাদার ছবিও নয়। যা সাধারণ দর্শকরা প্রত্যাশা করে। তাই ভেবেছিলাম মানুষজন ছবিটি দেখবে না। কিন্তু এখন তাদের সাড়া দেখে আমি সত্যি অবাক।
: পরিচালক অমিত যখন চিত্রনাট্য বোঝাচ্ছিলেন, তখন কী ভেবেছিলেন?
- আমরা একটি প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কৃতিতে বাস করছি। আপনার মনে হবে, সবকিছু নিয়েই একটু প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার। বিদ্যা ভিনসেন্ট (শেরনিতে বিদ্যার চরিত্রের নাম) এমন নয়। তাই বারবার মনে হচ্ছিল, আমি ঠিকঠাক ভিনসেন্ট হতে পারবো কিনা। আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল বেশি অপ্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যাচ্ছি না তো?
: সিনেমায় অনেক শক্তিশালী ও প্রতিবাদী নারী চরিত্র দেখি। কিন্তু বিদ্যা ভিনসেন্ট তেমনটা নন।
- এটা আমার জন্য নতুন একটা শিক্ষা বটে। প্রথমে ভেবেছিলাম, ভিনসেন্টের শান্ত মেজাজটা বেশিমাত্রায় অপ্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যাচ্ছে না তো। তবে আমার মতে ভিনসেন্ট একজন শক্তিশালী নারী। কারণ, তিনি কাজ আদায় করে নিতে জানেন। আর যারা কাজ করতে জানেন, তারাই শক্তিশালী। শক্তিশালী নারী মানে এক ধাঁচের হবে, ব্যাপার এমন নয়।
- ভিনসেন্ট কিন্তু সব ক্ষেত্রে সংঘাতপ্রিয় নয়। অনেক নারীই আমার কাছে চিঠি লিখেছিল যে তারাও ভিনসেন্টের মতো শক্তিশালী, তবে সংঘাত পছন্দ করেন না।
অনেক সময় আমরা আমাদের যুদ্ধগুলো নিজেরাই বেছে নিই। আমরা জানি কোথায় কথা বলতে হয়। ভিনসেন্ট তার স্বামীর কাছে বলতেই পারবে ‘না আমি সেই মেয়ে নই। আমি বদলে গেছি।’ কিন্তু যে শাশুড়ি কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে এসেছে তার সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট করার পাত্রীও সে নয়।
: আপনি কেমন মানুষ? নিজের লড়াই বেছে নিতে পছন্দ করেন?
- আমি মনে করি, হ্যাঁ। জীবনের অনেক মুহূর্ত আছে যেখানে আমি বিদ্যা ভিনসেন্টের মতো ছিলাম। আমাদের নিজেদের ভেতর অনেক মানুষ বাস করে। যেমনটি বলেছিলাম, একেক চরিত্রে যখন আপনাকে নামতে হয়, তখন একেক ধরনের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটতে থাকে। তবু এমন সময় আছে যখন আমি বেশ সোচ্চার ছিলাম। তবে আমি নিশ্চিত আমার ভেতর একটা বিদ্যা ভিনসেন্ট আছে।