অসুস্থ শরীরেই গানের টানে ঢাকা থেকে বান্দরবান

কিছুদিন আগেও বিদেশের হাসপাতালে শুয়ে বেজবাবা সুমন ভেবেছিলেন, আর হয়তো বেঁচে দেশে ফেরা হবে না। ভেবেছিলেন, জীবনের সুরের ছেদটা বুঝি পড়েই গেল। 

না, নানা ধকল কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি। শরীরটা এখন অনেকটাই ভালো। চাইলে এখন বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকতে পারেন। হাঁটতে পারেন ২-৩ কিলোমিটার। আর বড়জোর গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে বসতে পারেন ৪-৫ ঘণ্টা।

এমন অবস্থাতেই বান্দরবানে গাড়ি নিয়ে ছুটে গেলেন অর্থহীন ব্যান্ডের এই গায়ক। কারণটা গান। নতুন ভিডিও তৈরি করছেন তিনি। 

গানের নাম ‘বয়স হলো আমার’। লেখা–সুরসহ গানের প্রযোজক সুমন। প্রযোজনায় তার সঙ্গে আছেন গিটারিস্ট মহান ফাহিম। 

সুমন জানান, গানের শুটিংয়ের জন্য গত সপ্তাহে বান্দরবানে গিয়েছিলেন। টানা কয়েকদিন হয়েছে সেখানে কাজ।

বান্দরবানে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে সুমন মহান ছাড়াও সুমনের এই দলে আছেন বখতিয়ার হোসাইন, রাফাত মাহমুদ ও জাহেদ।

গানটি প্রসঙ্গে সুমন বলেন, ‘এটি অ্যাকুস্টিক কাজ। মহান অ্যাকুস্টিকে বেশ ভালো। আমি নিজেই প্রডিউস করতে পারতাম, কিন্তু একজন ব্যান্ড মেম্বারকেও সঙ্গে রাখলাম। এতে ভক্তরা অর্থহীনের একটা আমেজ পাবেন।’
 
অর্থহীন ব্যান্ডের এই দলনেতা ব্যাংকক ও দুবাইয়ে পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন। তিনি ক্যানসার ও মেরুদণ্ডের কঠিন জটিলতায় কয়েক বছর ধরেই ভুগছেন। সবশেষ চিকিৎসার আগে কয়েক মাস বিছানায় পড়ে ছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে সার্জারির পর ব্যাংককের হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন তিনি। সেসময় সুমনের শরীরে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ৯টি সার্জারি করা হয়। দুর্ঘটনায় তার স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। তখন তার মেরুদণ্ডের দুটি ডিস্কও পরিবর্তন করা হয়েছিল। এখন তিনি সেই জটিলতাতেই ভুগছেন। সঙ্গে রয়েছে পুরনো অসুখ ক্যানসারের বিধিনিষেধও।বান্দরবানে শুটিংয়ের ফাঁকে সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে সুমন