এমন চটজলদি স্ট্রেইট-কাট জবাবের পর প্রশ্নকর্তার আসলে তেমন কিছুই করার থাকে না। বুঝে নিতে হয়, তিনি হয়তো বিরক্ত নয়তো বিব্রত। হতে পারে মিলেমিশে দুটোই।
কারণ এ নিয়ে কম হাসাহাসি আর টিপ্পনি হলো না ঢালি হয়ে টলি পাড়াতে। নিন্দুকেরা নুসরাতের গায়ে পড়েই বলছে, ‘ইমরান হাশমী কেসটা নিতান্তই প্রচারণার জন্য সাজানো হয়েছে!’ তবে এসব ফিসফাসফিস আলাপের বিপরীতে নুসরাত বারবারই বলেছেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন। সব গুঞ্জনের জবাব দিব। সব সন্দেহ উতরে যাবে সময় হলে।’
এবার বোধয় সময় হলো উতরানোর। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে নুসরাত বাংলা ট্রিবিউনকে তাই জানালেন, ‘না, এ ছবিতে ইমরান হাশমী থাকছেন না। পরিচালক সিডিউল মেলাতে পারেননি। তিনি অন্য কাউকে ট্রাই করছেন।’ তাহলে হাশমীর বদলে আসছে কে? শোনা যাচ্ছে রণদীপ হুদার কথা। ছবিটা হচ্ছে তো! ফারিয়ার তড়িৎ জবাব, ‘আই ডোন্ট নো’। হয়তো ‘প্রশ্ন’ আর ‘বিস্ময় চিহ্ন’ তার লেগেছে খুব। অথবা তখন কলকাতার এসকে মুভিজের ডাবিং থিয়েটারে কোনও কারণে বিরক্ত ছিলেন। মাঠে-ঘাটে অভিনয় শেষে ডাবিংয়ের পর্দা ধরে ঠোঁট মেলানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ঢের কষ্ট।
এদিকে একটি সূত্র ছবিটির কাস্টিং ডিরেক্টর যোসেফের বরাত দিয়ে জানায়, ইমরান হাশমীর বদলে করণ সিং গ্রোভার আর রণদীপ হুদার সঙ্গে কথা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত রণদীপ থাকার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। যা শিগগিরই জানানো হবে নুসরাত ফারিয়াকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ‘মনসুন ওয়েডিং’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মারকুটে অভিনেতা রণদীপ হুদার বলিউড অভিষেক ঘটে। তবে ২০১০ সালে মিলান লুথারিয়া পরিচালিত ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই’ দিয়ে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এরপর ‘জিসম-টু’, ‘মার্ডার-থ্রি’, ‘হিরোইন’, ‘হাইওয়ে’, ‘কিক’, ‘উংলি’ ছবিগুলো দিয়ে বি-টাউনের নির্ভরযোগ্য অভিনেতায় পরিনত হন তিনি।
/এমএম/