সৌমিত্র স্মরণ

সত্যজিতের চোখে যেমন ছিলেন সৌমিত্র

কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক-লেখক সত্যজিৎ রায়ের ক্যামেরা দিয়েই এক যুবকের পথচলা শুরু হয়েছিল। নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ছয় ফুট লম্বা, ফর্সা, ছিপছিপে চেহারার অভিনয় পাগল ছেলেটাকেই নিজের অপু হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য এই পরিচালক। একসময় সেই যুবকটিই হয়ে ওঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক কিংবদন্তি! ‘পথের পাঁচালি’র পর অপু ট্রিলজি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ছবি ‘অপুর সংসার’র (১৯৫৯) সঙ্গেই শুরু এই জুটির পথচলা। সত্যজিতের ক্যারিয়ারের পাঁচ নম্বর ছবি ছিল এটি। এরপর পরিচালকের বাকি ২৯টি ছবির মধ্যে ১৩টিতেই অভিনয় করেছেন ‘সৌমিত্রবাবু’। সত্যজিতের চোখে বা ফ্রেমে কেমন ছিলেন সৌমিত্র- অভিনেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে (১৫ নভেম্বর) সেটাই দেখার চেষ্টা করা হলো- অপুর সংসার - ১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ছবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর

১৯৬৫ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি- কাপুরুষ। আরও অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়

অরণ্যের দিনরাত্রি - চার বন্ধুর গল্প নিয়ে তৈরি ছবি। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় এটি

বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা ও সৌমিত্র। ছবির নাম- অশনি সংকেত। ১৯৭৩ সালের এটি পর্দায় এসেছিল

ঘরে বাইরে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ছবি। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

হীরক রাজার দেশে - অসম্ভব জনপ্রিয় এ ছবি ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। সত্যজিৎ রায়ের চোখে উদয়ন পণ্ডিত হিসেবে দর্শকদের কাছে ধরা দেন সৌমিত্র। গুপি-বাঘা সিরিজের শেষ ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’

গণশত্রু - ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সৌমিত্র ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন রুমা গুহঠাকুরতা, মমতা শঙ্কর, ধৃতিমান চট্টোপাধ্য়ায়, দীপঙ্কর দে, মনোজ মিত্র

১৯৯০ সালে মুক্তি পায়- শাখা প্রশাখা। অভিনয়ে ছিলেন সৌমিত্র, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, রঞ্জিৎ মল্লিক, মমতা শঙ্কর

সূত্র: এবিপি লাইভ