শতাধিক তারকা নিয়ে ১৬ দিনের মহোৎসব, উন্মুক্ত সবার জন্য

মহান বিজয় দিবসকে (১৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্র করে এত বড় আয়োজন আগে আর হয়নি, যা হচ্ছে এবার।

বিজয়ের মাসের প্রথম দিন (১ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বিজয়ের ৫০ বছর-লাল সবুজের মহোৎসব’। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে আবির্ভূত হয় নতুন দেশ- বাংলাদেশ। সেই মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ১৬ দিনব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে এই মহোৎসব। উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশনস। 

হাতিরঝিল এমফিথিয়েটারে আজ (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে এই বর্ণিল আয়োজন। উৎসবটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

হাতিরঝিল এমফিথিয়েটার (ফাইল ছবি)উদ্বোধনী আয়োজন শেষে থাকছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। যাতে অংশ নিচ্ছেন সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কৌশিক হোসেন তাপসসহ নাটক-সিনেমা ও গানের শতাধিক শিল্পী। থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিশেষ তথ্যচিত্র। উদ্বোধনী আয়োজনের শেষে থাকছে চোখ ধাঁধানো আতশবাজি।

১৬ দিনব্যাপী এই আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যায়ক্রমে আরও থাকছে দেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রায় প্রতিটি শাখার স্বনামধন্য প্রবীণ ও নবীন শিল্পীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানমালা। স্ব-স্ব পরিবেশনা নিয়ে এতে উপস্থিত থাকছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দ, রবীন্দ্র, নজরুল, লোকসংগীত, আধুনিক ও ব্যান্ড সংগীতের স্বনামধন্য শিল্পীরা। নৃত্য, মঞ্চনাটকের পাশাপাশি থাকছে চলচ্চিত্র তারকাদের বিশেষ পারফরম্যান্স। থাকছে শিশু-কিশোর ও বিশেষ শিশুদের (প্রতিবন্ধী) পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

উদ্বোধনী আয়োজনে সংগীতে চমক থাকছে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও কৌশিক হোসেন তাপসের পরিবেশনায়এছাড়াও, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্মানিত নারীদের উপস্থিতিতে বিশেষ অনুষ্ঠান। থাকছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। 

দেশের সাত বিভাগের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হবেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীরা। উৎসবের শেষ দিন (১৬ ডিসেম্বর) বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হয়ে থাকবে মেগা কনসার্ট। যাতে উপস্থিত থাকবে দেশসেরা ব্যান্ড ও একক শিল্পীরা।

রাজধানীর হাতিরঝিল এমফিথিয়েটারে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে ১৬ দিনব্যাপী এ মহোৎসবের অনুষ্ঠানগুলো। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

এই তারকারাও নাচে-গানে মাতাবেন বিজয়ের মঞ্চমহোৎসবের ১৬ দিনের কর্মসূচি:

ডিসেম্বর-০১: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি; ডিসেম্বর-০২: শিশু-কিশোর ও বিশেষ শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; ডিসেম্বর-০৩: নারীদের অংশগ্রহণে বিশেষ অনুষ্ঠান; ডিসেম্বর-০৪: নজরুল উৎসব; ডিসেম্বর-০৫: রবীন্দ্র উৎসব; ডিসেম্বর-০৬: নৃত্য উৎসব; ডিসেম্বর-০৭: অঞ্চলভিত্তিক অনুষ্ঠান-ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ; ডিসেম্বর-০৮: অঞ্চলভিত্তিক অনুষ্ঠান-চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগ; ডিসেম্বর ০৯: অঞ্চলভিত্তিক অনুষ্ঠান-রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ; ডিসেম্বর ১০: অঞ্চলভিত্তিক অনুষ্ঠান-খুলনা ও সিলেট বিভাগ; ডিসেম্বর ১১: সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান; ডিসেম্বর ১২: লোকসংগীত; ডিসেম্বর ১৩: চলচ্চিত্র তারকাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান; ডিসেম্বর ১৪, ২০২১: মঞ্চনাটক; ডিসেম্বর ১৫, ২০২১: কনসার্ট; ডিসেম্বর ১৬: রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি।

এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো।