৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে ঐশ্বরিয়া 

পানামা নথি মামলায় গতকাল (২০ ডিসেম্বর) বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সংস্থা।

বিদেশে প্রচুর সম্পত্তি রাখার অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইনে (ফেমা) তাকে ডেকে পাঠানো হয়। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর প্রতি অভিযোগ, কর ফাঁকি দিতে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে তিনি তার সম্পদ পাঠিয়েছেন। 

সোমবার তাকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই মোতাবেক সেখানে যান বচ্চন পুত্রবধূ।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয় অ্যাশের কাছে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০০৫ সালে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নথিভুক্ত অমিক পার্টনার কোম্পানিটির সঙ্গে ঐশ্বর্যের যোগাযোগ আছে কিনা? এবং কোন আইনি ফার্মে মোসাক ফসেনকা এই সংস্থাটিকে নথিভুক্ত করেছিল?

ডিরেক্টর থেকে ঐশ্বর্য কেন ২০০৫ সালে এই কোম্পানির একজন শেয়ারহোল্ডার হয়ে যান, সে প্রশ্নও করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন এই কোম্পানি ২০০৮ সাল থেকে নিষ্ক্রিয়?

তবে ইডির তলব নতুন কিছু নয়। এর আগেও ঐশ্বরিয়াকে দুবার ডেকেছিল তারা। কিন্তু তখন তিনি সময় চেয়ে নিয়েছিলেন।

ইডি কার্যালয়ে ঐশ্বরিয়া

পানামা কাণ্ড হলো- ১ কোটি ১৫ লক্ষ গোপন নথি, যা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল।  বিদেশে কত পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, এ নিয়ে অনেকের গোপন তথ্য প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেয় গোটা দুনিয়ায়। পানামার একটি ল ফার্ম এবং করপোরেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোসাক ফনসেকা এই নথি তৈরি করেছিল। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিদেশে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।

সূত্র: এএনআই