ডয়চে ভেলের নারী বিষয়ক সিরিজ ‘এশিয়ার নারীরা’

এশিয়ার নারীদের অনুপ্রেরণামূলক বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে নির্মাণ করেছে ‘এশিয়ার নারীরা’ (হার– উইমেন ইন এশিয়া)। এতে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও তাইওয়ানের নারীরা নিজেদের জীবনের নানান দিক ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

ছয় পর্বের সিরিজটির প্রতিটি পর্বের ব্যাপ্তি ১৫ মিনিট। প্রতি পর্বে অনলাইন ডেটিং, সৌন্দর্য, কর্মজীবন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিয়েসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো কীভাবে এশিয়ার নারীরা মোকাবিলা করছেন তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ডয়চে ভেলের এশিয়া শাখার বিতরণ ব্যবস্থাপক ম্যাক্সিমিলিয়ান পিকার্ট বলেন, ‘সামাজিক বৈচিত্র্য ও বহুমুখিতাকে উৎসাহিত করে এমন বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করি। বিভিন্ন দেশের দর্শকদের কাছে নারীর ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পরিবেশ-প্রযুক্তিসহ নানান বিষয় আমাদের সহযোগীদের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

ডয়চে ভেলের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিতরণ প্রতিনিধি জয়া ওবেরয়ের কথায়, ‘নারী বিষয়ক সিরিজটির মাধ্যমে আমরা এশিয়ার সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের গল্প তুলে ধরেছি। এটি নারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে মেলে ধরেছে।’

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের বিতরণ প্রতিনিধি নাজিয়া আদনিন উল্লেখ করেন, সিরিজটিতে এশিয়ার নারীদের অসাধারণ সব গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অনুপ্রেরণাদায়ক গল্পগুলো নারীদের জীবন সংগ্রামের না বলা কথা মেলে ধরেছে।

ইংরেজিতে নির্মিত সিরিজটি বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। ‘এশিয়ার নারীরা’ দেখা যাচ্ছে বঙ্গবিডিতে। এছাড়া এশিয়ায় ডয়চে ভেলের পার্টনার ভারতের স্ক্রল মিডিয়া, পাকিস্তানের ডন মিডিয়া গ্রুপ এবং মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পিআইকে ফিল্মের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিরিজটি ভূত এবং স্টার্জপ্লেসহ ২০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পরিবেশিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ‘এশিয়ার নারীরা’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজন ২০২২ সালের শুরুতে প্রচারের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে। দ্বিতীয় সিজনে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও হংকংয়ের নারীদের গল্প বলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।