নিজেকেই চিনতে পারছিলেন না দীপিকা

২০২১ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউডের অনেক তারকা। বাদ ছিলেন না দীপিকা পাড়ুকোনও। এতদিন সেই কোয়ারেন্টিনে কাটানো দিনগুলো নিয়ে কথা না বললেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে মুখ খুললেন ‘৮৩’র অভিনেত্রী। 

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান করোনা পজিটিভ হওয়ার পর কীভাবে তার জীবনটাই বদলে গিয়েছিল। গত বছরের এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হন দীপিকা ও তার পরিবার। কেমন ছিল সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো? সাক্ষাৎকারে এই তারকা জানান, আয়নায় তিনি নিজেকেই চিনতে পারছিলেন না! 

দীপিকা বলেন, ‘করোনা থেকে সেরে ওঠার জন্য যে ধরনের স্টেরয়েড নিতে হয়েছিল সেগুলো আমার শরীর দুর্বল করে দিয়েছিল। কোনও কিছুই মনে রাখতে পারছিলাম না। শরীরের সঙ্গে মনের কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি।’

এ তারকা আরও বলেন, ‘করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও পুরোপুরি সেরে উঠতে আমার ২ মাস সময় লেগেছিল। ওই সময় হাতের সব কাজ থেকেও বিরতি নিয়েছিলাম।’

গত এপ্রিলে দীপিকা পাড়ুকোন, বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন, মা উজ্জলা পাড়ুকোন ও বোন অনিশা, সবাই করোনায় আক্রান্ত হন।

দীপিকা পাড়ুকোন

দীপিকা জানান, নিজে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দেখে অন্যদের কষ্টটাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। দারুণ কঠিন পর্যায়ের মধ্য দিয়েই অসুস্থতার সময় অতিবাহিত করেছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। এ সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতি জোর দিতে নিজে একটি সংস্থা চালু করেন। যার নাম ‘দ্য লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’। যাতে যেসব মানুষ অবসাদে ভুগছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শাকুন বাত্রা পরিচালিত অ্যামাজন প্রাইমের ছবি ‘গহেরাইয়া’ নিয়ে ব্যস্ত দীপিকা। ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি।