নিপুণকে নিয়ে মুখ খুললেন ফারুকী

গোটা দেশ এখন নিপুণময়! সম্প্রতি সোশাল হ্যান্ডেলে কথাটি খুব মজা করে বলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুণ। দিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একাধিক আলোচিত ঘটনার বর্ণনা- যার প্রত্যেকটি চরিত্রের নাম নিপুণ! 

বলেছেন, এসব নিপুণ ঘটনার খবর দেখে তিনি নিজেও আঁতকে ওঠেন ক্ষণে ক্ষণে! প্রত্যাশা করেন এই বলেন, জগতের সব নিপুণের মঙ্গল হোক। আশফাকের এমন প্রত্যাশার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তার নির্মাণগুরু মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও মুখ খুললেন নিপুণ ইস্যুতে।

তবে চিত্রনায়িকা বা নির্মাতা নিপুণ নন। ফারুকী ফোকাস করেছেন নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বাসিন্দা নিপুণ বিশ্বাসের ওপর। যে শিক্ষার্থী যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। 

সেই নিপুণকে নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন বিস্তর। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাটি খবরে পড়ার পর আমি চোখ বন্ধ করে নিপুণকে দেখতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে জীর্ণ স্যান্ডেল পায়ে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পড়ছে। তার গলা আটকে আসছে। সে বুঝতে পারছে না কাকে দোষ দেবে? তার মোবাইল না থাকাকে নাকি ম্যাসেজ না আসাকে? পথে দেরি হওয়াকে? নাকি তার দরিদ্র পিতাকে?’

নিপুণ বিশ্বাসপ্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে ফারুকী আরও বলেন, ‘আচ্ছা কবে থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলা এত নিষ্ঠুর হয়ে উঠলো? কবে থেকে শিক্ষকেরা হয়ে উঠলো এরকম বেরহম? আমি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি নাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকের নিবিড় সান্নিধ্য পেয়েছি। আমি তো দেখেছি তারা ছাত্রদের বিপদে-আপদে কীভাবে পাশে দাঁড়ান। আইনকে ছাত্রের পথের কাঁটা না করে, আইনের হাত মচকে দিয়ে ছাত্রের জন্য রাস্তা বানান। সেই শিক্ষকদের দিন কি তবে শেষ? আমরা তবে কাদের শিক্ষক বানাচ্ছি? কী শিক্ষা দেবেন তারা আমাদের?’

শেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই ‘ডুব’ নির্মাতা। বলেন, ‘এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি প্রমাণ করার যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হৃদয়ও থাকা লাগে।’

এদিকে সর্বশেষ জানা যায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারা নিপুণ বিশ্বাস।