বিনোদন বিশেষ

‘ঈদের সেই জামা আর পরতে পারিনি’

ঈদ মানেই স্মরণীয় দিন। তবে ক্ষণটি বিশেষ হয়ে থাকে কোনও না কোনও স্মৃতিতে। মনে দাগ কেটে যাওয়া সেই গল্প শুনতে বিশেষ এই আয়োজন। স্মৃতির আস্তিন খুলে সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী-মডেল নোভা ফিরোজ-

মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো ঈদ আমার জন্য বেশ কয়েকটি। যার দুটি আমাকে এখনও কাঁদায়। যেবার আমার বাবা ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়াকে হারালাম, সেটা ভোলার মতো নয়। ২০০২ সালের কোরবানির ঈদ ছিল। কয়েক দিন আগে বাবা মারা যান। মূলত আমি যেদিন ঈদের জামা কিনেছি, ওদিন রাতেই মারা গেছেন।

পরে আর ওই জামা পরার মতো মানসিক অবস্থা ছিল না। বারবারই মনে হয়েছে, জামার জন্যই হয় তো বাবাকে হারালাম। যদিও বাবা নিজে হাতে কিনে দেননি; তবু এটা মনে হতো।মনে আছে, সেদিন সকালবেলা একসঙ্গে নাস্তা করেছি, সবাই মিলে মার্কেটে গিয়েছি। জামা কিনেছি। রাতে ঘুমাতে যাবো, তখন বাবা চলে গেলেন। এটা আমার কাছে আজও দুঃস্বপ্নের মতো লাগে।

এরপর ২০০৭ সালে আম্মাও চলে গেলেন। এরপর থেকে আমার কাছে ঈদ দিনটা অনর্থক মনে হতো। ঈদের দিন ঘুমিয়ে কাটাতাম।

আমাদের বাসায় চিকেন কোরমা ছিল পারিবারিক ঐতিহ্য। এটা করতেন আমার মা। যেকোনও ঈদে আমরা উন্মুখ হয়ে থাকতাম মা’র সেই খাবারের জন্য। এটা খুব মিস করি প্রতিটা ঈদে। এরপর স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছে।

২০১৬ সালে মায়ের ভূমিকায় আমি চলে যাই। মায়ের সেই চিকেন কোরমাটা আমি করার চেষ্টা করি। যা পারিবারিক ঐতিহ্যর মতো ধরে রাখার চেষ্টাও করছি।

আর সবশেষ যেটা, সেটা হলো আমার পুত্র রাফাজ রায়হান সান্নিধ্যের জন্ম। সে রমজান মাসে এসেছে, ২০১৩ সালে। এই ঈদটা মা হিসেবে আমার জন্য অন্যরকম ছিল। মনে হচ্ছিল বাবা আমার কাছে ফিরে এসেছেন।