বিনোদন বিশেষ

‘ঈদে সিয়ামের ছেলেকে দেখতে যাবো’

ঈদ মানেই স্মরণীয় দিন। তবে ক্ষণটি বিশেষ হয়ে থাকে কোনও না কোনও স্মৃতিতে। মনে দাগ কেটে যাওয়া সেই গল্প শুনতে বিশেষ এই আয়োজন। স্মৃতির আস্তিন খুলে সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া—
 
২০১৭ সালের পর থেকে আমাদের বাসায় আর সেভাবে ঈদ হয় না। এর কারণ হলো আমার বাবার মৃত্যু।

সেবার রোজার ঈদটা আমরা সবাই একসঙ্গে করেছিলাম। সৌভাগ্যবশত সেবার আমার বড় দুলাভাই ও বোন ছিল। ভাই আর্মি অফিসার হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই ঢাকার বাইরে পোস্টিংয়ে থাকতেন।

সকাল বেলা মা অনেক ধরনের মিষ্টি খাবার বানায়। দুপুর বেলায় আমরা সবাই খিচুড়ি খাই। সারা মাস রোজা রেখে পরদিন তেলে ভাজা খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে দেখে এটা করা হতো।

বিকালে মেজো বোনের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। ওর বাসা শান্তিনগরে। আমার দুই বোনই রান্না করতে অনেক পছন্দ করেন। সন্ধ্যায় সবাই আমাদের বাসায় চলে আসে। একসঙ্গে ডিনার করেছিলাম।

সেবার আমরা শান্তিনগরের বাসায় সবাই একসঙ্গে ঈদ করেছিলাম। শুধু এই একটি কারণেই সারা জীবন আমার কাছে দিনটি বিশেষ হয়ে থাকবে।

বাবা ঈদে একটা জিনিস খুব পছন্দ করতেন, তা হলো আমাদের তিন বোনের একই ড্রেস। আমার বড় বোন আমার থেকে ১৬ বছরের বড়। তাই ছোটবেলায় একসঙ্গে একই কাপড় পরা হতো না। কিন্তু আমি বড় হওয়ার পর তিন বোনই তিন জনের জন্য একই ধরনের জামা কিনি। এ কারণে তিন জনের তিন সেট পোশাক হয়। বিষয়টি বাবার খুব ভালো লাগতো।

বাবার সঙ্গে শবনম ফারিয়া২০১৭ সালের রোজার ঈদের পর বাবা মারা যান। কিন্তু এখনও ঈদের দিনের আগের রাতটা আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। কারণ, আমার কাজ ছিল ঈদের আগের রাতে বাবার পাঞ্জাবি-পায়জামা ইস্ত্রি করে টেবিলে রাখা। এ সময়টা এলে প্রতি ঈদে আমাকে বিষণ্ণ করে তোলে। বাবা যতদিন ছিলেন, ততদিন পর্যন্তই আমাদের বাসায় ঈদের আয়োজন হয়েছে। এখন আর সেভাবে হয় না।

আর এবারের ঈদের কথা জানতে চাইলে বলবো, এবার আমি নায়কবন্ধু সিয়াম আহমেদের বাসায় যাবো। আমার ও তার বাসা পাশাপাশি। সিয়াম এবারই বাবা হলো। জুনিয়র সিয়ামকে দেখে এবারের ঈদ পার করবো।