গৌরবের পদ্মা সেতু

আমাকে আর ১২/১৪ ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হবে না: ঐশী

৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল পদ্মার বুকে একটি সেতু। যে সেতুটি একটি সুতোয় মালা গেঁথে দিলো বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলকে। সেতুটি সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতিতে। সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের আশা, শুধু জীবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, দেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের দৃশ্যপটে বৈচিত্র্যের স্বাদ এনে দেবে এই সেতু। বাড়বে কনসার্ট।

পদ্মা সেতু নিয়ে এমনই স্বপ্ন বুনছেন পিরোজপুরের মেয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী- 

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে শুটিংয়ের জন্য নতুন লোকেশন পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে অনুপ্রেরণাও জোগাবে বলে মনে করি।

ফেরির ভয়ে বছরের পর বছর বাড়ি যাওয়া হয়নি। এমনও হয়েছে যে বিমানে উড়ে যশোর গিয়েছি, সেখান থেকে বাড়ি গিয়েছি। এখন আমার জন্য বাড়ি যাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। এজন্য দারুণ ভালো লাগছে। 

আমি একদিন ছুটি পেলেও এখন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে চলে যাবো। কারণ, আমি জানি আমাকে আর ১২-১৪ ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হবে না।

নিজের সুবিধার বাইরে দেশের মানুষ ও অর্থনীতির যে মেলবন্ধন ঘটবে এই সেতুর মাধ্যমে, সেটির কথা তো আর বলে শেষ করা যাবে না।

তাই ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সেতুটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়োজিত প্রতিটি মানুষকে। যাদের মাধ্যমে এমন একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো।