গৌরবের পদ্মা সেতু

এখন ঢাকা থেকে ভোলায় গিয়ে নাশতা করাও সম্ভব: তৌসিফ মাহবুব

৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল পদ্মার বুকে একটি সেতু। যে সেতুটি একটি সুতোয় মালা গেঁথে দিলো বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলকে। সেতুটি সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতিতে। সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের আশা, শুধু জীবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, দেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের দৃশ্যপটে বৈচিত্র্যের স্বাদ এনে দেবে এই সেতু। বাড়বে কনসার্ট।

পদ্মা সেতু নিয়ে এমনই স্বপ্ন বুনছেন ভোলার ছেলে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব- 

আমার গ্রামের বাড়ি ভোলায়। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে বরিশাল পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ফেরিতে করে ভোলা যেতে হতো আমাদের। এখন আর সেই বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হবে না। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত যেতে আগে ২৫০ থেকে ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো, যদি লঞ্চে না যাই। আর এখন সেটি ১০০ থেকে বড়জোর ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই চলবে।

তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে পারবো! এটা তো স্বপ্নের মতো লাগে এখনও। এখন শুধু বরিশাল থেকে ভোলা পর্যন্ত ছোট্ট একটা ফেরি পার হওয়া লাগবে। এতে খরচ অনেক কমবে। অনেক সময়ও বাঁচবে। 

মোট কথা, আগে গ্রামে যেতে ভাবতে হতো, এখন চোখ বন্ধ করে ছুটবো। খুব সকালে রওনা দিলে ভোলায় গিয়ে নাশতা করাও সম্ভব!

বাড়ি যাওয়ার গল্প শেষে এবার আসি শুটিং-জীবনে। শুটিংয়ের জন্য আমাদের অনেক লোকেশনে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে পুরো ইউনিট নিয়ে যাওয়া অনেক খরচের ব্যাপার। এ কারণে কেউ সেই চিন্তাই করতো না। ২৫ জুন থেকে ৩০ জুন আমার একটি নাটকের শুটিং হওয়ার কথা ভোলায়। কিন্তু পরিচালক বারবার ভাবছিলেন, ৬০-৭০ জন মানুষ নিয়ে ভোলা পর্যন্ত যাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় ইউনিটের মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ভোলা চলে যেতে পারবো। এভাবে আমাদের জন্য বিভিন্ন লোকেশনে যাওয়া এখন থেকে সহজ হবে।

আমার ও আমাদের এই দিন বদলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এই সেতুটি নির্মাণে জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা।