একজন বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক, আরেকজন ছিনতাইকারী যুবক, অন্যজন পতিতাপল্লির বাসিন্দা। তিন জনই একসঙ্গে পেলো মুক্তির ছাড়পত্র! তারা যথাক্রমে লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফুল রাজ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা।
তিন সময়ের এই তিন অভিনেতাকে নিয়ে ‘কাঠবিড়ালী’-খ্যাত নির্মাতা নিয়ামুল মুক্তা বানিয়েছেন তার দ্বিতীয় ছবি ‘রক্তজবা’। বলা দরকার, প্রথম ছবিতেই জাত চিনিয়েছেন মুক্তা। বিশেষ করে গল্প ও নির্মাণ ভাবনায়। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার মুক্তির মিছিলে যুক্ত হলো তার ‘রক্তজবা’।
২৫ জুন ছবিটির সেন্সর শো হয়। ২৮ জুন বিনা কর্তনে মুক্তির ছাড়পত্র হাতে পান পরিচালক। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ছবিটি মুক্তি পাবে। যেখানে পাওয়া যাবে শিক্ষক, ছিনতাইকারী ও পতিতা চরিত্রের তিনটি গল্প। যে গল্পগুলো আবার একসূত্রে গাঁথা।
মুক্তার ভাষ্যে, ‘এই গল্পের সূত্র একটি চিঠি। সেটির সূত্র খুঁজতে গিয়েই ৩ জন ভিন্ন ঘরানার মানুষের সমান্তরাল জার্নি দেখানোর চেষ্টা করেছি।’
যোগ করেন, ‘‘নির্মাণ হিসাবে এইটা আগেরটার (কাঠবিড়ালী) চেয়ে স্মার্ট মেকিং। গল্পটা আরও পরিণত। সবাই অভিনয় অসাধারণ করেছেন। নির্মাতা হিসেবে আমি খুশি ‘রক্তজবা’ বানিয়ে।’
ছবিটি দেখার পর মানুষ যেন বলে, নির্মাতা হিসেবে নিয়ামুল মুক্তার উন্নতি হয়েছে! দর্শকদের কাছে তেমনটাই প্রত্যাশা নির্মাতার।
‘রক্তজবা’য় একজন ছিনতাইকারীর চরিত্রে দেখা যাবে সময়ের আলোচিত নায়ক শরিফুল রাজকে। যিনি ‘পরাণ’ কাঁপিয়ে এখন ভাসছেন ‘হাওয়ায়’। ‘পরাণ’ হিট হয়ে হল থেকে নামার আগেই ২৯ জুলাই পর্দায় উঠছে তার নতুন ছবি ‘হাওয়া’। তারপরই আসছে ‘রক্তজবা’। তার ভাষ্যে, ‘‘এত দ্রুত সবকিছু ঘটছে, আসলে কি বলবো এখন বুঝতে পারছি না। ‘পরাণ’ নিয়ে টানা ব্যস্ত। আসছে ‘হাওয়া’। সেটির ব্যস্ততাও শুরু হলো। এরমধ্যে খবর পেলাম ‘রক্তজবা’ও প্রস্তুত। আমার তো ঈদ শেষ হচ্ছে না। তবে ছবিটির মুক্তির তারিখ ফিক্স হলে এটা নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। কারণ, এটাও আমার অসম্ভব আদরের একটা ছবি।’’
এর বাইরে অন্য দুই চরিত্র জর্জ ও তিশা সম্পর্কে দর্শক এরইমধ্যে অবগত আছেন। যারা বহুবার মুগ্ধ করেছেন অভিনয়গুণে- টিভি ও প্রেক্ষাগৃহে।