মুকুটটা পড়ে আছে, রাজাই শুধু নেই...

আজ (২১ আগস্ট) বাংলা চলচ্চিত্রের শোকের দিন। পাঁচ বছর আগে এই দিনে রাজ্য ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান নায়করাজ রাজ্জাক। বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ অভিনেতার প্রয়াণ দিবসে অনেকেই তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। 

কিংবদন্তির পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে ফেসবুকে লিখেছেন তার সহকর্মী চিত্রনায়িকা অঞ্জনা।

তিনি লেখেন, ‌‘আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের পরিপূর্ণ একটি অধ্যায় তিনি। যাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে কয়েক যুগ। বাংলা চলচ্চিত্র সমৃদ্ধশালী হয়েছে যার পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতায়। বাংলা চলচ্চিত্রে আপনার (রাজ্জাক) অবদান সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্মরণীয়। আপনিই একমাত্র নায়ক যার অবস্থান ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে খ্যাতির সর্বোচ্চ আসনে দীপ্তময় সূর্যের ন্যায় সমুজ্জ্বল ছিল। এককথায় আপনি অনন্য, আপনি মহান শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্র আপনার কাছে চিরঋণী। আমি নিজে সৌভাগ্যবতী আপনার সাথে জুটি হিসেবে প্রায় ৩৫টার মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। এরমধ্য বেশিরভাগ সুপারহিট ও কালজয়ী চলচ্চিত্র।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেত্রী ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার লেখেন, ‘মুকুটটা তো পড়ে আছে, রাজাই শুধু নেই। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় পিতৃপ্রতিম অভিভাবক নায়করাজ রাজ্জাক আংকেলের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। হে কীর্তিমান কালপুরুষ, ওপারে ভালো থাকুন; থাকুন প্রভুর চিরশান্তির ছায়াতলে।’

রাজ্জাকের সঙ্গে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করার সুযোগ হয়েছিল নিপুণের। এরমধ্যে ‘জমিদার বাড়ীর মেয়ে’, ‘পিতার আসন’, ‘মা বড় না বউ বড়’ ও ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’ ইত্যাদি।

চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক লেখেন, ‌‘রাজাবিহীন রাজ্যে আজ ধ্বংসের খেলা চলছে! আপনার রাজ্যের সুনাম আমরা প্রতিনিয়ত নষ্ট করছি জনাব! কিন্তু জনাব, চিন্তা করবেন না; এখানে নিশ্চয়ই আবার ভালোবাসার খেলা হবে! আর জান্নাত থেকে আপনি হাসবেন।’

এদিকে এই কিংবদন্তির প্রয়াণ দিবসে তার বাসা ও শিল্পী সমিতিতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বিশেষভাবে স্মরণও করবে সমিতি। নায়ক রাজ্জাক এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি ছিলেন।

উল্লেখ্য, নায়করাজ দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান। এরপর থেকে নিয়মিত সমিতি দোয়ার আয়োজন করে আসছে।