দিল্লি টু ঢাকা: মিডল এজ ক্রাইসিস প্রসঙ্গে ফারিয়া

নাকে সফল অস্ত্রোপচার শেষে ১১ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন শবনম ফারিয়া। ফিরেই শুটিং ব্যস্ততা আর পড়াশোনার চাপে পড়লেন। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নিপাট অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে বেশ খোলামেলা শরীরে ফটোশুট করে সোশাল হ্যান্ডেলে বিস্ময় ছড়াতে। মধ্য বয়সী অভিনেত্রীদের এমন সাহসী উপস্থিতি ঢাকা-গ্ল্যামারে আগে দেখা যায়নি।

নিজের জীবনে নানাবিধ চাপ আর সহকর্মীদের খোলামেলা উৎসব মিলিয়ে শবনম ফারিয়ার কণ্ঠে আক্ষেপের সুর। ঢাকায় নেমেই বললেন, ‌‘শুটিং প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো, পরশু (১৩ ডিসেম্বর) আমার সেমিস্টার ফাইনালের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার শেষ দিবস! অসুস্থতার কারণে ভুলেই গেছি লেখাপড়া বলেও যে কিছু আছে জীবনে! এখন পড়তে বসছি।’

মূলত এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন শবনম। বললেন, ‌‌‘এটা আমার মিড লাইফ ক্রাইসিসে ওয়েট কমিয়ে খোলামেলা কাপড় পরে ফটোশুট করার বয়স! অথচ এই বয়সে এসব বাদ দিয়ে পড়াশোনা করছি!’

শবনম এখনও মধ্য বয়সে পৌঁছাননি। তবু তার মনে কেন মধ্য বয়সের ছাপ! এসব প্রশ্নের জবাব মেলেনি অভিনেত্রীর কাছে।

এদিকে শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে গত অক্টোবর থেকে দেশে এবং দেশের বাইরে চিকিৎসা করিয়েছেন ফারিয়া। প্রথমে ভেবেছিলেন কার্ডিয়াক সমস্যা। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন, তার কার্ডিয়াক সমস্যা নেই। অনেক দিন ধরেই নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। ভারতে চিকিৎসক দেখানোর পর জানতে পারেন তার নাকে জটিলতা রয়েছে।

শ্বাস জটিলতা প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে ফারিয়া বলেন, ‘এক বছর ধরে লক্ষ করছিলাম নিশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। সে হিসেবে অনেক কার্ডিয়াক স্পেশালিস্ট দেখিয়েছি। অবশেষে দিল্লি এসে নিশ্চিত হলাম, সমস্যাটা কার্ডিয়াক নয়, নাকে! আমার নাকের একটা হাড় বাঁকা, যা ক্রমশ বাঁকছে। দিল্লিতে অপারেশন করে সেটি কেটে ফেলায় এখন সুস্থবোধ করছি।’ 

নাকের সমস্যা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ফারিয়া। পেশা অভিনয় হলেও পড়াশোনা করছেন সাংবাদিকতায়।