ইউরোপের বিখ্যাত উৎসবে বাংলাদেশের দুই চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্র কেন্দ্রিক ইউরোপের বিখ্যাত আয়োজন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যাম’। নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর রটারড্যামে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এটি। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্দা উঠছে উৎসবের ৫২তম আসরের। চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মর্যাদাপূর্ণ এই উৎসবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। একসঙ্গে ঢাকার দুটি সিনেমা সেখানে জায়গা করে নিয়েছে। একটি হলো নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত ‘পেট কাটা ষ’, অন্যটি ঋতু সাত্তার নির্মিত ‘শবনম’। এরমধ্যে ‘শবনম’ লড়বে টাইগার শর্ট কম্পিটিশন বিভাগে।

‘পেট কাটা ষ’ নির্মিত হয়েছে এবং মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ হিসেবে। দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটি মুক্তি পায়। তবে রটারড্যাম উৎসবে এটিকে চলচ্চিত্র আকারেই জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সুবাদে এটি সিনেমা হিসেবে অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেয়েছে।

সুখবরটি নিশ্চিত করে নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন বলেছেন, ‘আমাদের বাংলা ভূতের অসাধারণ নির্মাণশৈলির গল্পগুলো এরইমধ্যে অগণিত আন্তর্জাতিক দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। প্রথমবারের মতো কোনও বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও রটারড্যাম ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়াল সিলেকশন একটি ইতিহাস সৃষ্টি করলো। এটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য একটি সম্মানজনক অধ্যায়।’

এজন্য কাজটির সঙ্গে যুক্ত সব শিল্পী-কুশলীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নুহাশ।

অন্যদিকে নির্মাতা ঋতু সাত্তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, ‘যারা এতদিন ধরে আমাকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এছাড়া যারা আমাকে সঠিক পরামর্শ এবং উপদেশ দিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।’

‘শবনম’ সিনেমাটির ট্রেলার শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা ঋতু।

এদিকে দেশের দুটি কনটেন্ট রটারড্যাম উৎসবে নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোশাল হ্যান্ডেলে তিনি বলেছেন, “রটারড্যাম এ বছর বাংলাদেশের দুটি সিনেমা পেয়েছে। হার্বর সেকশনে নুহাশ হুমায়ূনের ‘পেট কাটা ষ’ এবং শর্ট কম্পিটিশনে ঋতু সাত্তারের ‘শবনম’। ‘পেট কাটা ষ’র নির্মাণশৈলি আমার দারুণ লেগেছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণে এটি একটি রেফারেন্স হিসেবে থাকবে। অন্যদিকে ‘শবনম’ দেখার সুযোগ এখনও হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত, এটাও চমৎকার কিছু হবে।”

উল্লেখ্য, ‘পেট কাটা ষ’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, প্রীতম হাসান, সোহেল মণ্ডল, মোর্শেদ মিশু, কাজী নওশাবা আহমেদ প্রমুখ।