পরিচালকদের নির্বাচন আজ: জিতলে যা করবেন কাজী হায়াৎ ও গুলজার

সিনেমার চেয়ে সংগঠন আর নির্বাচনে মুখর শিল্পী-নির্মাতা-কুশলীরা; গত কয়েক বছর ধরেই ঢালিউডে এই দৃশ্য বিরাজমান। এ নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনারও অন্ত নেই। যদিও তাতে ভ্রূক্ষেপ করেন না কেউ। এক সংগঠনের নির্বাচনী আমেজ ফুরাতে না ফুরাতে ঘনিয়ে আসে আরেকটির লড়াই।

এবার এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এই ভোটের লড়াইয়ে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজয়ীরা আগামী দুই বছর নেতৃত্ব দেবেন পরিচালকদের।

এবারের নির্বাচনে একটি প্যানেলে রয়েছেন কাজী হায়াৎ (সভাপতি) ও শাহীন সুমন (মহাসচিব); অন্যটিতে মুশফিকুর রহমান গুলজার (সভাপতি) ও জাকির হোসেন রাজু (মহাসচিব)। দুই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবুল খায়ের বুলবুল ও ছটকু আহমেদ।

নির্বাচনের বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী মুশফিকুর রহমান গুলজার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সকাল ৯টায় এফডিসিতে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। মাঝে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজ বিরতি থাকবে।

সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্য জানিয়ে গুলজার বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। আমাদের সিনেমা প্রদর্শনের জায়গা নাই। সিনেমা বানালেও সেটা দেখানোর মতো জায়গা কমে গেছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম, দেশের সব জেলায় যেন সরকারি অর্থায়নে একটি করে সিনেপ্লেক্স বানানো হয়। সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছিলো, প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছিলেন; কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এটা যাতে বাস্তবায়ন হয়, জয়লাভ করলে সেই ব্যবস্থা নেবো। দ্বিতীয়ত; চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি যেন এফডিসি থেকেও যেন অনুদান দেওয়া হয়, যেন বছরে অন্তত ২০টি সিনেমা বানানো যায়। এছাড়া পরিচালকদের আবাসন সমস্যা নিরসনেও আমরা কাজ করবো।’

অন্যদিকে কাজী হায়াৎ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘একটি কথা আছে, ডিম আগে নাকি মুরগি আগে। এরকম সিনেমা অঙ্গনেও এখন বলা হচ্ছে, সিনেমা আগে নাকি সিনেমা হল আগে। আমি কিছুদিন আগে একটি সিনেমা মুক্তি দিতে গিয়ে দেখেছি, হলের অবস্থা খুবই বাজে। এত কষ্ট করে সিনেমা বানাই, কিন্তু সেটা পর্দায় না ঠিকমতো দেখা যায়, না শোনা যায় শব্দ। তো সিনেমা ভালো করতে হবে নাকি সিনেমা হল? আমি বলি, দুটোই ভালো করতে হবে। এই দুটো কীভাবে ভালো করা যায়, সেটাই আমার প্রথম লক্ষ্য। অনেকে বলতে পারেন, আমি একা কী করবো। আমি একা না, আমার সঙ্গে থাকবে পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতিসহ সিনেমার মানুষজন। সবাই মিলে আলোচনা করে যদি চেষ্টা করি, তাহলে সমাধান হবেই। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই, আমার ধারণা তিনি আমাদের ফেলে দেবেন না।’

দুই প্যানেলের প্রার্থীরাপরিচালক সমিতির এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৬৮ জন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু। সদস্য হিসেবে থাকছেন সামসুল আলম ও বি এইচ নিশান।

সংগঠনটির উপ-মহাসচিব পদে লড়ছেন কবিরুল ইসলাম রানা ও মো. সালাহ্‌উদ্দিন; কোষাধ্যক্ষ পদে সায়মন তারিক, সেলিম আজম ও হানিফ আকন দুলাল; সাংগঠনিক সচিব পদে আনোয়ার সিরাজী ওশাহীন কবির টুটুল; আন্তর্জাতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সচিব পদে নূর মোহাম্মদ মনি ও রাজু আহাম্মেদ; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব পদে আব্দুর রহিম বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবু; প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব পদে ওয়াজেদ আলী বাবলু ও সাইফ চন্দন।

এছাড়া নির্বাহী সদস্যের ১০টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেলে ২০ জন পরিচালক প্রার্থী হয়েছেন।