একুশ কণ্ঠে একুশের গান (ভিডিও)

ভাষার গান বলতেই সবার কানে বেজে ওঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা ও আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি যুগ যুগ ধরেই বাঙালির স্পন্দনে মিশে আছে। বছরের পর বছর যায়, মাতৃভাষা নিয়ে বহু গান সৃষ্টি হয়, কিন্তু এর আবেদন ও মাধুর্যকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে না।

তাই চিরচেনা সেই গানকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে বেছে নিলেন এ প্রজন্মের একঝাঁক শিল্পী। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে একুশজন শিল্পী মিলে গাইলেন গানটি।

নতুন সংগীতায়োজনে কেবল পিয়ানোর সঙ্গে গানটি গাওয়া হয়েছে। পিয়ানো বাজানো এবং গানটির মিক্সিং করেছেন অয়ন চাকলাদার। এর উদ্যোক্তা হিসেবেও তাকেই ধরে নেওয়া যায়।

যদিও এ গানের মূল ভাবনা এসেছিলো গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবনের কাছ থেকে। অয়ন জানান, বছর চার-পাঁচ আগে ইমরানকে ২১ জন শিল্পী নিয়ে একটি ভাষার গান করতে বলেছিলেন জীবন। তখন সামনে উপস্থিত ছিলেন অয়নও। কিন্তু পরে নানা ব্যস্ততায় আর কাজটি হয়ে ওঠেনি।

অয়নের ভাষ্য, ‘গত বছর আমি ইমরানকে বলি যে, এই আইডিয়াটা আমি কাজে লাগাতে চাই। তবে নতুন কোনও মৌলিক গান নয়, চিরচেনা ভাইহারা একুশের গানটাই করবো; আরও ২০ জন আর্টিস্টকে সঙ্গে নিয়ে। যেই কথা সেই কাজ। করে ফেললাম, আর হয়েও গেল।’

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অয়ন চাকলাদার, ইমরান মাহমুদুল, সন্দীপন, কামরুজ্জামান রাব্বি, স্বপ্নীল রাজীব, সাফায়েত, মিলন, ঝিলিক, এসডি সাগর, ইফতেখার, সজীব দাস, রিয়েল আশিক, আকাশ মাহমুদ, আঁখি, স্নেহাশীষ ঘোষ, মার্সেল, তন্ময়, শামস, নাবিলা, দোলা ও অদ্রি।

এর মধ্যে একমাত্র অদ্রি পেশাদার শিল্পী নন। তিনি অয়নের ছোট বোন। অয়ন জানান, ‘এই গানটিতে যারা কণ্ঠ দিয়েছেন তারা সবাই গানের সঙ্গে খুব ভালোভাবেই জড়িত। শুধু আমার ছোটবোন অদ্রিকে দিয়ে গানটা শেষ করেছি, নতুন প্রজন্মের কাছে গানটা পৌঁছে দেয়ার একটা প্রতীক হিসেবে।’

গানের লিংক: