ঢালিউডে তার পথচলা বছর পাঁচেকের। ২০১৮ সালে ‘নায়ক’ ছবি দিয়ে অভিষেক। তখন থেকেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা জারি রেখেছেন। মাঝে দু’বছর তাকে প্রেক্ষাগৃহে পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার (২ জুন) মুক্তি পাওয়া ‘সুলতানপুর’ দিয়ে ফের চর্চায় এলেন। নাম তার অধরা খান। নতুন ছবির সূত্র ধরে তার সঙ্গে কথা বলেছে বাংলা ট্রিবিউন। গল্পের ছলে এতে উঠে এসেছে তার অপেক্ষা ও অপূর্ণতার গল্প।
শুরুটা ‘সুলতানপুর’ থেকেই করা যাক। মুক্তির দ্বিতীয় দিনে এসে জানতে চাওয়া হলো ছবিটি নিয়ে দর্শকের সাড়া প্রসঙ্গে। নায়িকার জবাব, ‘সিনেপ্লেক্স এবং কিছু ভালো হলে রিলিজ হয়েছে। এখনও যতটুকু খবর পেয়েছি, রেসপন্স ভালো। কয়েকটা হলে হাউজফুল ছিল। তবে মাত্র তো দুই দিন চলছে। প্রত্যাশামাফিক সাড়া পাচ্ছি বা পেয়েছি কিনা, সেটা ভাবার জন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে চাই।’
গল্পটা আগেই পড়েছেন। এরপর শুটিংয়েও সবকিছু দেখেছেন। তবু দর্শক সারিতে বসে পুরো ছবি দেখার অনুভূতি নিঃসন্দেহে আলাদা। অধরা কি সেই অনুভূতি নিয়েছেন? দেখার পর কোন দিকটা তার বেশি ভালো লেগেছে? অধরা খান বললেন, ‘হ্যাঁ ছবিটা আমি দেখেছি। আমাদের ছবিটার এন্ড ক্লাইম্যাক্স অনেক বেশি টুইস্টে ভরা। একজন দর্শক কিংবা শিল্পী হিসেবে বললেও ছবির সবচেয়ে বড় চমক রয়েছে ক্লাইম্যাক্সে।’
অন্য অনেকের মতো অধরা খানও মনে করেন, দেশে বাস্তবসম্মত সিনেমা নির্মাণ করা কঠিন। সেন্সর বোর্ডের নানান বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যেটা সৃষ্টিশীল কাজের বড় অন্তরায়।
দেশের সীমান্ত অঞ্চলের গল্প ‘সুলতানপুর’। এখানে অপরাধ-রাজনীতির সঙ্গে প্রশাসন, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে শুটিংয়েও অনেক শ্রম-ঘাম দিতে হয়েছে সবাইকে। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দিনগুলো হাতড়ে অধরা খান বলেন, ‘বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে যশোর বেনাপোলে। এছাড়া আরও অনেকগুলো লোকেশনে শুটিং হয়েছিল। সেই দিনগুলো অনেক কঠিন ছিল এই কারণে যে, এটা র ফিল্ম। এখানে ফেইক কিছু করার সুযোগ ছিল না। অন্যান্য ছবিতে যেমন সেট বানিয়ে শুটিং করে ফেলা যায়। ন্যাচারাল আবহের জন্য আমাদের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করতে হয়েছিল। আরেকটা বড় বাধা ছিল করোনাভাইরাস। সেই দুর্বিসহ সময়ে শুটিং করা কতটা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।’
অধরার ভাবনাজুড়ে সিনেমা। তবে যুগের চাহিদামাফিক ওটিটি প্রজেক্টেও যুক্ত হতে চান। যার জন্য রয়েছে তার ভেতরে অধীর অপেক্ষা। এ নিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমার অভিষেক বড় পর্দা দিয়ে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বড় পর্দাতেই আছি। তবে ওটিটিতে কাজের ইচ্ছে আছে। সেক্ষেত্রে আমার চাওয়া হলো, সেখানে অভিষেক যেন ভালো কিছু দিয়ে হয়। এখন দেশের বাইরে সবাই ওটিটিতে কাজ করছেন। সুতরাং এটাকে সিনেমার বাইরে ভাবা যাবে না। মূল বিষয় হলো গল্প, নির্মাতা কিংবা প্ল্যাটফর্ম। তাই সেই সঠিক প্ল্যাটফর্মের জন্য অপেক্ষা করছি।’
বলা দরকার, ‘সুলতানপুর’ নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির। এতে আরও অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জ জন, রাশেদ মামুন অপু, আশিষ খন্দকার, মৌমিতা মৌ, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে আসাদ জামান ও নির্মাতা সৈকত নাসির। প্রযোজনায় ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট।