দুজনের মধ্যে চেনাজানা ছিল না। একটি সিনেমার সূত্রে প্রথম দেখা, আর সেই সাক্ষাতের এক সপ্তাহ পরই তারা বিয়ে করে ফেললেন! এরপর তুমুল প্রেমে ভরা সংসার। তাদের ঘর আলো করে এসেছে সন্তান। সেই সন্তান ঘিরেও তাদের উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই সেই সম্পর্ক নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি তা চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি বিচ্ছেদের গুঞ্জনও ঘুরে বেড়াচ্ছে সিনেপাড়ায়।
বলা হচ্ছে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণির কথাই। গত ২৯ মে মধ্যরাতে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যকার জটিলতা প্রকাশ্যে এসেছে।
পরী জানান, গত ২০ মে থেকেই রাজ বাসায় থাকছেন না। নিজের জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছেন। এমনকি তার সঙ্গে নাকি যোগাযোগও করতে পারছেন না। এর বিপরীতে রাজের সুর কিছুটা ভিন্ন। তার মতে, বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ পরী নিজেই ভালো জানেন। অর্থাৎ এটুকু স্পষ্ট, দুজনের মধ্যে কোনও ঝামেলার সূত্রেই ঘর ছেড়েছেন রাজ।
প্রশ্ন হলো, এই তারকা দম্পতির সম্পর্ক ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? তারা কি দাম্পত্যের গল্পটা দীর্ঘ করতে চান? নাকি বিচ্ছেদে সব কিছুর ইতি টানতে চান?
জয়-রাজের সেই আলাপের ভিডিওটি রবিবার (৪ জুন) সকালে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন পরী এবং বিধ্বংসী বোমার মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজকে রীতিমতো গালাগাল করে ‘মাতলামি’র অভিযোগও তুলেছেন নায়িকা। শুধু তাই নয়, রাজের সঙ্গে অন্য নায়িকা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কের দিকটি ইঙ্গিত করে সেসব মানুষের সামনে আনার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পরী। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেন এই নায়িকা।
এদিকে একটি গণমাধ্যমকে পরীমণি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি রাজকে আর স্বামী হিসেবে ভাবতে চান না। নিজেকে রাজের প্রাক্তন বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তিনি। এমনকি আগামীতে বিবাদ মিটিয়ে রাজ যদি ফিরতে চান, সংসার করতে চান, সেই সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য পরীর।
যদিও রাজের ভাষ্যে এ পর্যন্ত বিচ্ছেদ সংক্রান্ত কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এমনকি ছবি-ভিডিও ফাঁস ইস্যুতেও তিনি স্পষ্ট বাক্যে পরীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি। দাম্পত্য জটিলতার মধ্যেও তিনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানালেন। সম্প্রতি ‘দেয়ালের দেশ’, ‘ইনফিনিটি’ ও ‘কাজলরেখা’ ছবির ডাবিং শেষ করেছেন রাজ।
উল্লেখ্য, গেলো বছর মুক্তি পাওয়া ‘দামাল’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন শরিফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিম। সেই ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে দুজনে হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেটা দেখেই ক্ষুব্ধ হন পরী। এরপর থেকেই মূলত রাজ-পরীর সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে গেছে।