বাবা দিবসে বিশেষ

সবই বুঝি, তাও আমার কষ্টটা কমে না: শবনম ফারিয়া

বাবা- দ্য আনসাং হিরো। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বাবা থাকেন মজবুত খুঁটি হয়ে, পরম আশ্রয় হয়ে। অনেকটা শক্তির পেছনে রক্তের প্রবাহের মতো। তাই বাবাদের গল্প, ত্যাগ আর ভালোবাসাগুলো বরাবরই থাকে আড়ালে। সেই আড়ালের খোলস কিছুটা উন্মোচিত হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবারে; কারণ এদিন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস। আজ রবিবার (১৮ জুন) বাবা দিবসে বাংলা ট্রিবিউন বাবার সঙ্গে তারকাদের সম্পর্কের গতিবিধি জানার চেষ্টা করেছে। এ পর্বে বাবাকে নিয়ে নিজের গল্পটা শুনিয়েছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া...

ফাদার্স ডে এলে আমার মন খারাপ হয়, একটু-আধটু না, অনেক বেশি! সবাই কম বেশি জানে, আমি আমার বাবার খুবই আহ্লাদি একটা মেয়ে ছিলাম। আমার বাবারও পুরা পৃথিবী একদিকে, তার মেয়েরা ছিল আরেক দিকে। 

প্রতিবছর ফাদার্স ডের আগে আমার অনেক প্ল্যান থাকতো। আমি বোঝার চেষ্টা করতাম, বাবার কী লাগতে পারে, বেশিরভাগ সময়ে বই ছাড়া বাবাকে দেওয়ার মতো তেমন কিছু পাওয়া যেত না। বাবার জন্য বই কেনাও একটা মুশকিলের ব্যাপার। বাবা এত বই পড়ে যে কোন বই তার পড়া হয়নি, সেটা বোঝা ছিল মুশকিল। অনেক খুঁজে খুঁজে কিনতে হতো! 

আমি ইনকাম শুরু করার পর থেকে কোনও ফাদার্স ডে যায়নি, যেদিন আমরা ডিনারে বাইরে যাইনি! প্রায় ৬ বছর, এখনও যখন দেখি কেউ বাবার জন্য কিছু কেনে, আমার ভীষণ কষ্ট হয়! আমার মনে আছে, বাবা চলে যাওয়ার ৩ মাস পর থাইল্যান্ড গেছে শুটিংয়ে। পুরনো অভ্যাসে বাবার জন্য ৪টা পোলো টি-শার্ট কিনে বের হয়েছি, জোভান বলে- এগুলো কার জন্য কিনলি? 

আমি বললাম, বাবার জন্য! জোভান অনেকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ঘাড়ে হাত দিয়ে শান্ত স্বরে বলে, চল আমরা এগুলো চেঞ্জ করে অন্য কিছু নিয়ে আসি! ঠিক তখন মনে পড়লো, বাবা তো আর নাই! 

শবনম ফারিয়া

না, অ্যাকচুয়ালি বাবা আছে! সাথে কিংবা পাশে নাই! যেখানে আছে নিশ্চয়ই ভালো আছে, সারা জীবন এত মানুষের চিকিৎসা করেছেন, সাহায্য করেছেন, আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই তাকে খারাপ রাখবেন না । 

সবই বুঝি কিন্তু তাও আমার কষ্টটা কমে না। কোথাও ভালো কিছু খেলে, নতুন কোথাও ঘুরতে গেলে, ভালো কিছু করলে কিংবা কাজ নিয়ে কেউ অ্যাপ্রিসিয়েট করলে প্রথমেই মনে হয়, আরে বাবাকে বললে তিনি মজা পেতো! 

আই হোপ, বাবা ক্যান সি দিস অ্যান্ড ফিল প্রাউড টু সি হাউ আই সারভাইভড সো ম্যানি অড সিচ্যুয়েশনস অ্যান্ড স্টিল ডুইং ফাইন! হ্যাপি ফাদার্স ডে টু অল দ্য অ্যামেজিং ফাদার্স।