নিজের লেখা-সুরের গান নিয়ে অনেক দিন ধরে লড়ছেন নাহিদ হাসান। তার একাধিক গান শ্রোতাপ্রিয়তাও পেয়েছে। অন্যদিকে ‘প্রহরী’ নামে কবিতার উদ্যান সৃষ্টি করে চলেছেন শামসুল হুদা মোস্তফা। নিজে যেমন কবিতা লেখেন, আবার আবৃত্তিতেও কাড়ছেন মানুষের মন। এই দুই তরুণ একত্রিত হয়ে এবার করলেন গান-কবিতার কনসার্ট।
‘প্রহরী- কবিতা আমার প্রেমের রাজধানী’ শীর্ষক এই আয়োজনকে ‘ঢাকার প্রথম কবিতা-গানের কনসার্ট’ বলে মনে করছেন তারা। এর আগে এরকম আয়োজন হয়েছে কিনা, তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধবার (২১ জুন) বিশ্ব সংগীত দিবসের সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই কনসার্ট।
এতে মূল পারফর্মার হিসেবে ছিলেন নাহিদ হাসান ও প্রহরী। তাদের গিটারে সঙ্গ দিয়েছেন ‘আভাস’ ব্যান্ডের অন্তু দাস। বাড়তি চমক হিসেবে তিনটি গান শুনিয়েছেন সংগীতশিল্পী লিমন। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেছেন তাহমিদ নামের আরও এক তরুণ। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শুরু হয়ে রাত প্রায় ১০টা অব্দি চলে গান-কবিতার আসর। পুরোটা সময়জুড়ে উপস্থিত শ’খানেক দর্শক-শ্রোতা মুগ্ধতায় বুঁদ হয়ে ছিলেন।
কনসার্টটির জন্য ৫০০ টাকা মূল্যের টিকিট নির্ধারণ করেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানের আগের দিনই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। এর বাইরে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেও বহু মানুষ এসেছেন গান-কবিতার ব্যতিক্রম এই পরিবেশনা উপভোগ করতে। এরমধ্যে ছিলেন কবি রাকিবুল হায়দার, কবি সোয়েব মাহমুদ, গীতিকবি সোমেশ্বর অলি, নির্মাতা ইমেল হক প্রমুখ।
কবিতা-গানের কনসার্ট নিয়ে সংগীতশিল্পী নাহিদ হাসান বললেন, ‘আমি আর হুদা গান-কবিতা নিয়ে অনেক দিন ধরে আড্ডা দিচ্ছি। আমাদের অপরিকল্পিত আড্ডার বিভিন্ন মুহূর্ত ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে। সেই জায়গা থেকেই গান-কবিতার কনসার্টের আয়োজন। গান নিয়ে আলাদা কনসার্ট হয়, কবিতা নিয়ে আলাদা আয়োজন হয়; তবে আমরা দুটোর সমন্বয়ে একটা ভিন্ন জিনিস করতে চেয়েছি। প্রথম চেষ্টায় এত সাড়া পাবো, কল্পনাও করিনি।’
অন্যদিকে ‘প্রহরী’ তথা শামসুল হুদা মোস্তফার ভাষ্য, ‘এই কনসার্টের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম, কবিতার শ্রোতা-পাঠক এখনও জেগে আছে। আমাদের ছোট এই আয়োজনে এত মানুষ এসেছেন, ভালো লাগা জানিয়েছেন, আমরা আসলে আপ্লুত। প্রথম কনসার্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা আরও বড় পরিসরে, নিয়মিত এরকম আয়োজন করবো।’