বন্ধুরা যখন আমেরিকায় ঝাঁ-চকচকে আকাশে উড়ছেন, তিশা তখন গ্রামের বাড়িতে খুঁজে ফিরছেন মাটির সোঁদা গন্ধ। এই ফাঁকে সদ্য পশ্চিমে ঢলে পড়া ঈদে যেন বর্ণিল সন্ধ্যা টেনে আনলেন একাই তানজিন তিশা। নাটকে এবার এই তিশাকে চোখে পড়েছে সবচেয়ে আলাদা আবহে, নানান মাত্রার চরিত্রে। পুতুলের সংসার, শরবত, আই অ্যাম ডিভোর্সড, কঞ্জুস ২, আঁধার, এভাবেও ভালোবাসা যায়- চেখে দেখুন নাটকগুলো। দেখা পাবেন পরিণত এক তিশাকে।
যদিও তানজিন তিশাকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য এই দালিলিক রচনা নয়। বরং তার বিপরীত। এই খবরের মূল বিষয় ভিউ! যার সঙ্গে ভালো বা মন্দ অভিনয়ের বিশেষ কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, ফেসবুক-ইউটিউবে প্রচুর ভিউ মানেই মানসম্পন্ন, সেটি এখনও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। তবে মান প্রমাণের সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই ভিউ। তেমনই একটি মাইলফলক ছুঁলেন তানজিন।
দেশের প্রথম নাট্যাভিনেত্রী হিসেবে এর আগে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী। এবার মেহজাবীনের ফলকটি ছুঁয়ে দিলেন তিশা। সোমবার (১০ জুলাই) নাগাদ তার অভিনীত ৫১টি নাটক ইতোমধ্যে কোটি ভিউয়ের ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
আমার নির্মাতা ও দর্শকদের সাপোর্ট না পেলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না। সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।’
সচেতনভাবেই এরপর একটা ডিসক্লেমার দিতেও ভুল করলেন না মেধাবী তিশা। ভিউ প্রসঙ্গে নিদের দৃষ্টিভঙ্গিটা পরিষ্কার করলেন এভাবে, ‘ভিউ একটা সংখ্যা মাত্র, সেটা আমি জানি। একটা কাজ ভিউ হলো মানে কাজটা অনেক বেশি দর্শক দেখেছে। এটাও সত্যি, ভিউ আর মান দুটো আলাদা বিষয়। যেহেতু কাজগুলোতে অনেক ভিউ হয়েছে তার মানে দর্শক পছন্দ করেছেন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আমি এখন মানটা সবার আগে দেখি। যেমন, এবার ঈদে মাত্র পাঁচটা কাজ করেছি, কাজগুলো দর্শক পছন্দও করেছেন। সংখ্যায় কম হলেও মানসম্পন্ন কাজটাই করতে চাই এখন থেকে। যে নাটকের মাধ্যমে যেমন ভিউ হবে তেমন প্রশংসাও পাবো অভিনেত্রী হিসেবে।’