এটা নতুন কিছু নয়, এমনটা হয়ে থাকে। ইতিহাস বা অঞ্চল নির্ভর সিনেমা নির্মাণের সময় সেট, লোকেশন আর কস্টিউম যতটা দরকারি, সেটির ভাষা বা সংলাপ সঠিকভাবে শিল্পীদের মুখে তুলে দেওয়াটাও সমান দরকারি। যদিও দরকারটা অনেক নির্মাতা অনুভব করেন না বলে, পর্দায় সেটির ফলাফল হয় লেজে-গোবরে অবস্থা! তাই তো প্রায়শই ওঠে সিনেমায় ভাষাবিকৃতির অভিযোগ।
তবে এসব বিষয় মাথায় রেখে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত টলিউড নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র এবার মাঠে নামছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে। বানাবেন পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘দেবী চৌধুরানী’। এ নিয়ে নির্মাতার প্রস্তুতির খামতি নেই। এরমধ্যে সিনেমাটির সংলাপ কোচ হিসেবে যুক্ত করেছেন দুই বাংলার অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে।
খবরটি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন খোদ মিথিলা। তারও আগে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন নির্মাতা শুভ্রজিৎ। ছবিটির মূল দুই চরিত্রে থাকছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে কোচগিরির কতদূর? জানতে চাইলে মিথিলা জানান, এখনও সরাসরি শুরু করেননি। তবে কাজ এগিয়ে চলছে। চিত্রনাট্য তৈরির পাশাপাশি মিথিলা ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে কোচিং করাচ্ছেন। আর সরাসরি ওয়ার্কশপ করাবেন অক্টোবর থেকে।
সিনেমায় ভবানী পাঠকের চরিত্রে প্রসেনজিৎ আর দেবী চৌধুরানীর ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন শ্রাবন্তী। কিন্তু শুটিং কবে নাগাদ। নির্মাতা শুভ্রজিৎ জানান, ‘বৃষ্টি শেষ হলেই আমরা শুট শুরু করবো। কারণ সেট বানিয়ে লম্বা সময় নিয়ে আমাদের শুটিং চলবে। আড়াই মাস ধরে শুটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের টার্গেট ২০২৪-এর শরৎকালে ছবিটা মুক্তি দেয়ার।’
মিথিলা জানান, ‘দেবী চৌধুরানী’ অনেক বড় প্রজেক্ট। টলিউডের না বলে এটা ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টও বলা যায়। কারণ, বাংলা ছাড়াও ছবিটি আরও ছয়টি ভাষায় নির্মিত হবে।