উত্তম-সুচিত্রা-সৌমিত্রকে চেনা যায়!

উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়; বাংলা ভাষার সিনেমায় সফলতম তিন কিংবদন্তি। নানান চরিত্রে নিজেদের পর্দায় হাজির করেছেন তারা। সিনেমা হল থেকে ঘরের ড্রয়িং রুম, সবখানে তাদের জনপ্রিয়তা ছিল। যদিও তারা তিনজনই পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তলোকে, তবু দর্শকের মনে, রূপালি ইতিহাসে এখনও জ্বলজ্বল করছেন তারার মতো।

অনেকের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগে, উত্তম-সুচিত্রা-সৌমিত্র যদি এই সময়ের নায়ক-নায়িকা হতেন, কেমন হতো? এ যুগের বিভিন্ন আলোচিত চরিত্রে তাদের কতটা মানাতো? সেই কৌতূহলের খানিকটা মিটলো এক তরুণের সুবাদে। যিনি সম্প্রতি আলোচনার তুঙ্গে থাকা ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার তিন কেন্দ্রীয় চরিত্রে হাজির করলেন টলিউডের তিন কিংবদন্তীকে।

এর মধ্যে ‘বার্বি’ রূপে সাজিয়েছেন সুচিত্রা সেনকে। গোলাপি পোশাকে, হাস্যোজ্বল সুচিত্রাকে দেখলে মনেই হবে না তিনি সাদাকালো যুগের কোনও অভিনেত্রী। ‘বার্বি’র আরেক চরিত্র ‘কেন’ রূপে দেখা গেলো উত্তম কুমারকে। বোতাম খোলা জিনস শার্ট আর সাদা চুলে উত্তম যেন এ যুগের কোনও পশ্চিমা তরুণ!

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রটি যেন আরও বেশি ফুটে উঠলো। কথিত নায়কোচিত চরিত্রে নয়, ক্যারিয়ারে তিনি গভীর ও গল্পনির্ভর ভূমিকায় বেশি সাফল্য পেয়েছেন। তাই তাকে দেওয়া হয়েছে ‘ওপেনহাইমার’র রূপ। নীল শার্টের ওপর কালো ব্লেজার ও টাই, মাথায় হ্যাট দিয়ে সূক্ষ্ম চাহনিতে তাকিয়ে আছেন ‘ফেলুদা’ খ্যাত সৌমিত্র।

তিন তারকার এই অভিনব রূপ তৈরি করা হয়েছে সময়ের আলোচিত প্রযুক্তি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে। এগুলো বানিয়েছেন ঋদ্ধিরাজ পালিত নামের এক তরুণ। তিনি বলেছেন, ‘স্রেফ মজার ছলেই বানিয়েছি। কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না।’

‘বার্বি’ সিনেমার কেন (রায়ান গসলিং) ও মারগাট রবি, ‘ওপেনহাইমার’ রূপে কিলিয়ান মারফিউত্তম-সুচিত্রা-সৌমিত্রকে এমন রূপে দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। অনেকে নিজের টাইমলাইনেও শেয়ার করছেন ছবিগুলো। কেউ বলছেন, ‘সুচিত্রা সেন বার্বিকে যে কী অপূর্ব লাগছে!’, কারও মন্তব্য, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে তবুও অপুই বলা হবে’; কেউ কেউ অবশ্য সমালোচনাও করেছেন কাজটির জন্য।  

এর আগে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘মহাভারত’র বিভিন্ন চরিত্রে টলিউডের কালজয়ী তারকাদের উপস্থাপন করেছেন অনিকেত মিত্র নামের এক তরুণ। সেখানে উত্তম কুমারকে অর্জুন, সৌমিত্রকে দুর্যোধন, দ্রৌপদী রূপে সাজানো হয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায়কে। সেই ছবিগুলো নিয়ে চর্চা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গণমাধ্যমেও গড়িয়েছিল।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও উত্তম কুমারসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস