নুসরাত ফারিয়া। রূপালি পর্দায় এখন বেশ সাবলীল; অভিনয় এবং অঙ্গসজ্জায়। টিভি অনুষ্ঠানেও তাকে পাওয়া গেছে বেশ আধুনিক উপস্থাপনায়। সরল বিবেচেনায়, গ্ল্যামার অঙ্গনে তিনি এলেন আর জয় করলেন। নিজেকে ছড়ালেন দেশের বাইরেও। খবর মিলছে টলিউডে এখন তার বেশ দাপট। বিশেষ করে সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ‘হিরো ৪২০’ ছবিটির বাণিজ্যিক ফলাফল ভালোই। যেখানে তার সাহসী (পোশাক বিভাগে) এবং সাবলীল (অভিনয় বিভাগ) উপস্থিতি নজর কেড়েছে সবার।
আর সেই ছবিটাই গত শুক্রবার রাজধানীর এক প্রেক্ষাগৃহে দল বেঁধে দেখতে গেলেন ফারিয়ার বড় বোন মারিয়া ও তার বন্ধুরা। এদিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত অনেকেই ফারিয়ার বোন মারিয়াকে দেখে বিভ্রমে পড়েছেন। নিশ্চিত ভেবেছেন, বাস্তবে এমন ফুলহাতা জামা আর হিজাব অথচ পর্দায় পুরোটাই উল্টো কেন নুসরাত ফারিয়া! সেই প্রেক্ষাগৃহে তোলা মারিয়ার তোলা গ্রুপ সেলফি ফেসবুকে প্রকাশের পর একই গোলক ধাঁধাঁয় পড়েছেন নুসরাত ফারিয়ার অন্তর্জালকেন্দ্রিক ভক্তরা। মারিয়ার সেলফি দেখে তাদের একটাই প্রশ্ন- ‘এ কোন ফারিয়া!’
এ প্রসঙ্গে ফারিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘‘মারিয়া আমার বড় বোন। দুজন ‘কপিক্যাট’। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুও সে। তাকে দেখে অনেকেই প্রথমে ভাবে বোধহয় সে জন আমি। বিষয়টি বেশ উপভোগ করি। সেদিন যমুনা ফিউচার পার্কে মারিয়া তার বন্ধুদের নিয়ে আমার ছবিটা দেখল। সেখানেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই ধরে নিয়েছে, আমি হয়তো লুকিয়ে হিজাব পরে ছবিটি দেখতে এসেছি।’
অথচ বাস্তবতা কিন্তু পুরোটাই উল্টো। নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা শহরের এক রক্ষণশীল সম্ভ্রান্ত পরিবারে। যেখানে ধর্মীয় অনুশাষন মেনেই চলেন পরিবারের সব সদস্য। পোশাক-আশাকেও রয়েছে ‘হিজাব’কেন্দ্রিক নান্দনিক আচার। ফলে প্রথম থেকেই বেশ বেগ পেতে হয়েছে ফারিয়াকে, পারিবারিক নিয়ম ভাঙার দায়ে।