দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য ১৮ অক্টোবর বিষাদের দিন। কারণ পাঁচ বছর আগে এই দিনেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি রকস্টার আইয়ুব বাচ্চু। যিনি কথা, সুর, কণ্ঠে এবং গিটারের ঝংকারে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। পথ দেখিয়েছিলেন অগণিত তরুণকে।
তবে এবারের ১৮ অক্টোবরের এক দিন আগে বিষাদের ফাঁক গলে কিছু সুখবর পাওয়া গেলো। আইয়ুব বাচ্চুকে ঘিরে নানাবিধ চমকপ্রদ উদ্যোগ, আয়োজন হাতে নিচ্ছে তার পরিবার। যেগুলো বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ চুক্তিসাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। খবরটি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা। তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক ইএক্সপি-এর সঙ্গে এবি কিচেনের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
চন্দনা বলেন, ‘তিনি বেঁচে থাকাকালীন গিটারগুলো এবি কিচেনে ছিল। এখন স্টুডিও নেই; মানুষটাই তো নেই। তাই গিটারগুলো বাড়িতেই রেখেছি। যথাসম্ভব যত্নে রাখার চেষ্টা করছি। ইতোপূর্বে কিছু গিটার নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছে। আগামীতেও হবে। তার রেখে যাওয়া গিটার এবং অন্যান্য সংগীত সামগ্রী নিয়ে একটি জাদুঘর তৈরি করা হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে ধারবাহিকভাবে তার স্মরণে বিভিন্ন কনসার্টের আয়োজনও করা হবে। এসব নিয়ে এশিয়াটিকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে।’
শুধু তাই নয়, চন্দনা জানান, প্রায় ২০০টি গান প্রস্তুত রেখে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু। সেগুলোও এক এক করে প্রকাশ করবেন। তার কিছু গান নতুন আয়োজনে, তরুণ শিল্পীদের কণ্ঠেও প্রকাশ করা হবে।
চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি-এর কো-চেয়ারপারসন ও অভিনেত্রী সারা যাকের।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামীতে যদি কেউ আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্ট গান কিংবা ব্যান্ড ‘এলআরবি’র কোনও গান প্রচার অথবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে এবি কিচেন এবং এশিয়াটিক দুটি প্রতিষ্ঠানেরই অনুমোদন নিতে হবে।