ঘটনা প্রকাশের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর অবশেষে মিলেছে মন্তব্য। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন জনপ্রিয় টিভি নায়িকা তানজিন তিশা। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ‘আত্মহত্যা-চেষ্টা’র খবর প্রসঙ্গে বিস্তারিত বক্তব্য প্রকাশ করেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। জানান, বিষয়টি ‘আত্মহত্যা-চেষ্টা’ ছিল না। এটি ছিল ‘ফুড পয়জনিং’! আবার ঘুমের বড়ি খাওয়ার বিষয়টিও তিনি এড়িয়ে যাননি।
তার এই বিবৃতিতে শুধু এটুকুই উঠে আসেনি, বরং অনেক ফ্যাক্টর প্রকাশ পেয়েছে নতুন করে। তিশার চলমান জীবনকে যা আরও জটিলতার দিকেই ঠেলে দিলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সকাল থেকে ঢাকার মিডিয়ায় ‘আত্মহত্যা-চেষ্টা’র খবর প্রকাশ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘আজকে কিছু ভুল নিউজ দেখতে পেলাম এবং সে বিষয়টি আমি সবাইকে পরিষ্কার করতে চাই। আসল বিষয়টি হলো, গতরাতে আমার ফুড পয়জনিংয়ের পরে কিছু ব্যাপারে আমার খারাপ অবস্থা ছিল। তাই আমি একটা স্লিপিং পিল খাই এবং তার সাইডইফেক্ট হিসেবে বমি হয় এবং হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।’
যদিও এটুকু পরিষ্কার করেননি তিশা, তার বাবা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন কিনা!
তিশার বিবৃতিতে ‘আত্মহত্যা’র পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন বা সহশিল্পীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে ওঠা গুঞ্জনেরও জবাব দেন। তিশা সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আর্টিস্টদের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেই জীবন নিয়ে আপনারা যদি কথা বলেন তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু আমি একটি বিষয় বলতে চাই, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমারও হয়তো কখনও কিছু বলার থাকতে পারে।’
না। তিশার বিবৃতি এখানেই শেষ হয়নি। সবাইকে চমকে দিয়ে লেখাটির নিচে স্পষ্ট অক্ষরে লিখে রেখেছেন Musfiq R. Farhan নামটি। যে সহশিল্পীকে ঘিরেই মূলত তিশার বর্তমান জীবনের নানান জটিলতার খবর প্রকাশ্যে আসছে ক্রমশ। জানা গেছে, দেড় বছর ধরে নাটকের এই জুটি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রেমের সম্পর্কে মজে রয়েছেন। তাই নয়, ১৫ নভেম্বর রাতে তিশা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ফারহানের বাসাতেও গিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, সেই রাতে দুজনার মতবিরোধ থেকেই হাসপাতাল পর্যন্ত গড়ালেন তিশা।
বলা দরকার, ১৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ভর্তি হন তানজিন তিশা। সূত্র বলছে, এটা ছিল ফারহানের সঙ্গে অভিমান করে তিশার আত্মহত্যা-চেষ্টা।