বাকিংহাম প্যালেসে ‘ব্ল্যাকপিংক’

তাদেরকে বলা হয় ‘বিগেস্ট গার্ল গ্রুপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। যদিও এর সদস্য সংখ্যা মাত্র চার জন। দলটির নাম ‘ব্ল্যাকপিংক’। কোরিয়ান পপ গানের এই ব্যান্ড বিশ্বজুড়ে তাদের দাপট দেখিয়ে চলেছে। অন্তর্জালে তাদের গানের বিস্ময়কর সাড়া কিংবা কনসার্টে দর্শক-শ্রোতার সীমাহীন উন্মাদনা প্রমাণ করে, চার তরুণীর পারফর্মেন্স কতটা প্রভাবশালী।

জনপ্রিয় এই গানের দল এবার ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে হাজির হয়েছে। আর সেখানে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় অভ্যর্থনা। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে একটি রাজকীয় নৈশভোজের আয়োজন করেন কিং চার্লস ও কুইন ক্যামিলা। সেখানেই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন ‘ব্ল্যাকপিংক’র চার সদস্য জেনি, জিসু, লিসা ও রোজ।

মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ুল ও দেশটির ফার্স্ট লেডি কিউন হির যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষেই ভোজের আয়োজন করেছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। এতে প্রায় ১৭০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ‘ব্ল্যাকপিংক’র সদস্যরা।

নৈশভোজের চিত্রদলটিকে নিয়ে ব্রিটিশ রাজা চার্লস বলেন, “পরিবেশগত স্থিতিশীলতার বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমি জেনি, জিসু, লিসা ও রোজ তথা ‘ব্ল্যাকপিংক’কে সাধুবাদ জানাই। গ্লোবাল সুপারস্টার হয়ে তারা যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে, এটার জন্য আমি তাদের প্রশংসা করি।”

কোরিয়ান ব্যান্ড হলেও ‘ব্ল্যাকপিংক’র জনপ্রিয়তা ও প্রভাব পশ্চিমা বিশ্বেও অসামান্য। ক্রমশ তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের অন্যতম মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ‘বিএসটি- ব্রিটিশ সামার টাইম’-এ প্রথম কোরিয়ান ব্যান্ড হিসেবে পারফর্ম করেছে ‘ব্ল্যাকপিংক’। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি উৎসবেও প্রথম এশিয়ান নারী ব্যান্ড হিসেবে পারফর্ম করে রেকর্ড গড়ে ব্যান্ডটি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ‘স্কয়ার ওয়ান’ অ্যালবামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ‘ব্ল্যাকপিংক’। এ পর্যন্ত তাদের দুটি স্টুডিও অ্যালবাম, চারটি লাইভ অ্যালবাম, তিনটি ইপি ও ১২টি সিঙ্গেল প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু সিঙ্গেল অ্যালবাম ও প্রমোশনাল গানও করেছে ব্যান্ডটি।

ব্ল্যাকপিংকসূত্র: পিপল