গেলো বছরের ১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় হিন্দি সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা নির্মিত ও রণবীর কাপুর অভিনীত ছবিটি বক্স অফিসে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করেছে। তবে সমালোচনাও হয়েছে প্রচুর। অনেকেরই অভিযোগ, ছবিটিতে নারীদের ‘ছোট করে’ দেখানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই ঢাকার অভিনেত্রী বন্যা মির্জা বললেন, “অ্যানিমেল’র মতো সিনেমা দুনিয়া ছেয়ে গেছে। কেন? কারণ আমরা (দর্শক) নিজেরাও এসব বিষয় প্র্যাক্টিস করি। আমাদের মাথার মধ্যেও এগুলো কাজ করে।”
চলমান ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ নারী নির্মাতাদের নিয়ে আয়োজিত একটি কনফারেন্সে বসেই কথাটি বলেছেন বন্যা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে।
এদিন সকালে বাংলাদেশি নারী নির্মাতা মেহজাদ গালিব ‘পসিবিলিটি অব ফিমেল ড্রাইভেন কন্টেন্ট ইন দ্য ওটিটি প্লাটফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। নির্মাতা শামীম আকতারের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বন্যা মির্জা ছাড়াও অংশ নেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের গণ যোগাযোগ ও ভিডিওগ্রাফি বিভাগের প্রধান ড. ইপসিতা বরাট, বাংলাদেশি নির্মাতা শঙ্খ দাস গুপ্ত প্রমুখ।
আলোচনায় এক দর্শক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’র উদাহরণ টেনে প্রশ্ন তোলেন, সিনেমা বা ওটিটি কনটেন্টে যেসব গল্প নারীদের বলা হচ্ছে, সেগুলো আদতে পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকেই। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা শঙ্খ দাস জানান, একজন নির্মাতার ওই অধিকারটুকু রয়েছে, তিনি কোন গল্প, কোন ধাঁচে তুলে ধরবেন।
বন্যা মনে করেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়া ততটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুরুটা হয়েছে বলে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। এজন্য দায়িত্বশীল নির্মাতাদের সাধুবাদও জানিয়েছেন তিনি।