উৎসবের প্রথম দিন (৯ মে) ছিলো গানের পাশাপাশি বক্তব্যের আনুষ্ঠানিকতায় মোড়ানো। দ্বিতীয় দিনে (১০ মে) এসে সেটি যেন পেলো বর্ণাঢ্য রূপ।
১০ মে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয় সকাল ৯টায়। বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে সংগীত সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক পরিবেশনা। বিকালের পরিবেশনা শুরু হয় বিকাল ৫টায়। এই পর্বে সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করেন ‘ওই মহামানব আসে’ ও ‘বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী’। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এদিন একের পর এক গান পরিবেশন করের সুরের ধারা, রবিরাগ, সঙ্গীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। ছিলো শ্রুতিমধুর একক ও দলীয় পরিবেশনা।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে চলছে তিন দিনব্যাপী (৯-১১ মে) রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। আয়োজনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
বর্ণাঢ্য এই উৎসবের পর্দা নামছে আজ (১১ মে)। এদিন বিকাল ৫টায় শুরু হবে সমাপনী আয়োজন। এতে থাকবে সংস্থার শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা। সমাপনী অধিবেশনের সূচনা হবে পর পর ‘জগৎজুড়ে উদার সুরে/আনন্দগান বাজে’ ও ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ গানের মধ্য দিয়ে। পরে নিয়মিত পর্বে অংশ নেবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
পুরো উৎসবটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী (৮ মে) উপলক্ষে আয়োজিত এবারের উৎসবটি বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কলিম শরাফীর জন্মশতবর্ষ মাথায় রেখে। আর উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদের স্মৃতির প্রতি।